শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী

৩০ নভেম্বর -০০০১ - ১৩ মার্চ ২০০৯ | ১৩৩

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

স্মৃতির পাতায় যার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখেছি, যার স্মৃতিগুলো আমাকে সব সময় তাড়া করে ফিরছে , যাকে কাছে না পেয়ে হৃদয়ের মাঝে এক শুণ্যতা অনুভব করছি, যাকে হারিয়ে সঙ্গী হারানোর বিলাপের ন্যায় চোখ ভিজিয়েছি, সে হলো আমার প্রিয় ভাই শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী। যাকে হারিয়ে আজ আমি ঘুমাতে পারছি না, খাওয়া দাওয়া করতে পারছি না, পারছি না কোন কাজে মন দিতে। চোখ বন্ধ করলেই শুধু নোমানীর স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে। আন্দোলনের এই সাথীকে হারিয়ে বিলাপ করে ধৈর্যের বাঁধকে ভাঙতে হয়েছিল। আজও বিশ্বাস করতে পারছিনা যে, নোমানী আর নেই, মনে হয় যেন বেঁচে আছে। লড়াই করছে বাতিলের সাথে। হক ও বাতিলের দ্বন্ধ চিরন্তন। যুগে যুগে সত্য ও মিথ্যার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে সত্যের পতাকাকে সমুন্নত করেছেন অসংখ্য বীর সেনানী, গাজী ও মুজাহিদ। নোমানী ভাই লড়াই করে জীবন দিয়ে গেলেন কালেমার পতাকা উড্ডীনের এ মহৎ কাজকে।

১৯৬৯ সালের ১৫ আগষ্ট শহীদ আব্দুল মালেকের শাহাদাতের পথ ধরে এগিয়ে চলেছে শহীদি এ মিছিল। এ মিছিলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৩৩ তম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম শহীদে শামিল হলেন আমার প্রিয় ভাই। ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর থেকেই ছাত্রলীগের তান্ডবলীলা শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। একের পর এক নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, মারামারি, সশস্ত্র অবস্থায় হলে অবস্থান, অবৈধ সিট দখল ছিল তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা । এসব বিষয় বারবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে জানালেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তারা। ফলে সাধারণ ছাত্ররা তাদের ভয়ে হল ছাড়তে শুরু করে। এর মাঝেও আমরা সত্যের দাওয়াত, কুরআনের দাওয়াতী কাজকে অব্যাহত রেখেছিলাম। সাংগঠনিক নতুন সেসন আমরা শুরু করেছিলাম নতুন নতুন আকর্ষণীয় প্রোগ্রামের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা আয়জন করি ফ্রি ব্লাডগ্রুপিং , স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী এবং অনাথ ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ। প্রতিটি কর্মসূচী বাস্তবায়নে নোমানী ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। তিনি নিজেই প্রথমে এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী উদ্বোধন করেছিলেন। বিশেষ করে অনুষদ ও বিভাগীয় প্রথমস্থান অধিকারী ছাত্রছাত্রীদেরকে স্বর্ণপদক ও ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানটি ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয় যা রাবি শিবিরের গ্রহণযোগ্যতাকে বৃদ্ধি করেছে অনেকখানি। গত ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের নিয়ে একটি শিক্ষা সফর আয়োজন করের্ছিলাম। শিবিরের দায়িত্বশীলদের সুন্দর ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা এবং সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষা সফর বাস্তবায়ন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এতই মুগ্ধ করেছিল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝেও আলোড়ণ সৃষ্টি করেছিল। শিক্ষা সফর বাস্তবায়নে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন শরিফুজ্জামান নোমানী, যা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। তারা রাবি শিবিরের এই গতিকে রোধ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো।


ঘটনার সূত্রপাত
১৯৮২ সালের ১১ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গুণ্ডাদের সশস্ত্র আক্রমণে শহীদ শিবিরের চারজন নেতারকর্মীর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমরা ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ শোকর্যাযলি ও সমাবেশের আয়োজন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল ও মাইনুল ইসলাম ভাই সেদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। নোমানী ভাইকে সেদিন শহীদ আইয়ুব আলী ভাইয়ের বাসা চুয়াডাঙ্গায় পাঠিয়েছিলাম। র্যা লি শেষে যখন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে সমাবেশ চলছে ঠিক সেই মুহূর্তে ছাত্রলীগের একটি মিছিল আমাদের সমাবেশের কাছে এসে শিবিরের বিরুদ্ধে মিছিল দিতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোঁড়া শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, পুলিশের উপস্থিতি ছিল নির্বিকার। আমরা চরম ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ক্যাম্পাসে পড়ালেখার পরিবেশ অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা চালাই। কিন্তু ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে তাদের দখলদারিত্ব কায়েমে মরিয়া হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে তারা চারদিক থেকে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের টেন্ডে জড়ো হতে থাকে। আমরাও আমাদের ভাইদেরকে সতর্ক হতে বলি। বিকেলে দিকে পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশের সহযোগিতায় তারা হলে অবস্থান করে। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকেনি। রাত্রে অস্ত্র উদ্ধারের নামে বেছে বেছে শিবিরের রুমগুলোতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু কিছু না পেয়ে সেদিন পুলিশ ফিরে যায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে আমি জরুরি ভিত্তিতে নোমানী ভাইকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ফিরে আসতে বলি। পরের দিন ১২ মার্চ দিবাগত রাতে চলে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান। প্রতিটি হলের গেটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্রে সজ্জিত রেখে পুলিশ হলে গ্রেপ্তার অভিযান চালঅয়। বেছে বেছে শিবিরের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ছাত্রলীগের জন্য হল উন্মুক্ত করে দিয়ে যায়। যেন অবশিষ্ট অল্প কিছুসংখ্যক শিবিরকর্মীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে ছাত্রলীগ। এটা আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। সত্যিই তাই হলো। হল তল্লাশি করে যখন পুলিশ হল ছেড়েছে ১৩ মার্চ সকাল ৭ টায় সর্বপ্রথম খবর এলো তারা সোহরাওয়ার্দী হল ও জোহা হল আক্রমণ করেছে। খুব দ্রুত আমি বিনোদপুর থেকে নোমানী ভাইয়ের নেতৃত্বে কিছু ভাইদের তিন হল চত্বরের কাছে পাঠালাম আর সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আলমের নেতৃত্বে কিছু ভাইদের শের-ই-বাংলা হলের সামনে পাঠালাম। কয়েকজন ভাইকে নিয়ে আমি বিনোদপুর থাকলাম। সকাল ৯ টায় তারা হামলা চালাল বিনোদপুরে। আমরা দৃঢ়তার সাথে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। নোমানী ভাই কিছু ভাইকে নিয়ে গোটা ক্যাম্পাস থেকে সন্ত্রাসী বাহিনীকে তাড়িয়েছেন। এমন সময় খবর এলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আলমসহ ১১ জনকে তারা শের-ই-বাংলা হলে জিম্মি করে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদেরকে হত্যা করবে। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শান্তিকামী শিক্ষক, হলের প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরগণ সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সরাসরি ভাইস চ্যান্সেলরের বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসনের পক্ষে অব্যাহত অনুরোধ সত্ত্বেও হলে জিম্মি হয়ে পড়া নির্যাতিত ছাত্রদের উদ্ধারের কোন প্রকারের সহযোগিতা পাননি। আমি বারবার অনুরোধ জানালেও বিশ্ববিদ্যলায়ের প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়নি এবং পুলিশ তাদের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে আমি কিছু ভাইদের নিয়ে তাদের উদ্ধারের উদ্দেশ্যে শের-ই-বাংলা হলে প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা ফরহাল আলমের মাথায় পিস্তল ও রামদা ঠেকিয়ে বলে ভেতরে ঢুকলে একদম শেষ করে দেব। ফলে আমি পেছনে ফিরে আসতে বাধ্য হই। এমতাবস্থায় ১১ টা ৩০ মিনিটে নোমানী ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পুলিশের সাথে কথা বলে আটককৃতদের সাথে দেখা করার জন্য শের-ই-বাংলা হলে যাওয়ার পথে পুলিশের উপস্থিতিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নোমানী ভাইসহ মাহবুব, আবু রায়হান, জিন্নাহ ও আশরাফ হোসেনকে টেনে হেঁছড়ে হলের পূর্ব প্রাচীরের দিকে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা হকিস্টিক, চাপাতি, রামদা দিয়ে নোমানী ভাইয়ের মাথায় আঘাত করলে মাথা কেটে মগজ বের হয়ে যায় এবং সেখানেই চিরনিদ্রার সুখ অনুভব করেন আমাদের প্রিয় ভাই শরীফুজ্জামান নোমানী। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নোমানী
নোমানী ভাই শুধু ছাত্র হিসেবে ভাল ছাত্রই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ সংগঠক এবং নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল ও অনন্য প্রতিভার অধিকারি ছিলেন। গত রমজানে সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ‘জাতি গঠনে রমজানের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি চমৎকার এক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছিলেন। সেমিনারের প্রধান আলোচক রাবির অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম স্যার বলেছিলেন; শিবিরের দায়িত্বশীলরা এত বড় বড় দায়িত্ব পালন করার পরও যে পড়াশোনা করে এত সুন্দর তথ্য বহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে পারে এটা অবিশ্বাস্য, অবিস্মরণীয়। এছাড়া পলাশী ট্র্যাজেডি, এপ্রিল ফুল, ছুটি বিতর্ক : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ইত্যাদি বিষয়ে তার লেখা স্থানীয় জাতীয় পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে। তার ব্যক্তিগত ডায়েরীতে অসংখ্য কবিতা লেখা আছে।

চারিত্রিক মাধুর্যে অনন্য
তার চারিত্রিক গুণাবলি ও আচার ব্যবহার নবীর সাহাবীদের মতই ছিল। তার বড় ভাবী বলেছেন; নোমানী কখনো আমার সাথে হাসি-ঠাট্টা করে কথা বলেনি। এলাকাবাসী তার সম্পর্কে বলেছে; নোমানী বাসায়্ এসে আগে আমাদের খোঁজ খবর নিত, সালাম দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরত। এলাকার জানাযার নামাজে সে নিজেই ইমামতি করত। অথচ আমরাই তার জানাযায় শরীক হয়েছি। বড় ভাই তার সম্পর্কে বলেন; নোমানী অপরকে খুব সহজেই আপন করে নিত। কী অপরাধ ছিল তার প্রিয় ভাই নোমানীর? কেন তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলো? তিনি তো শুধু তার প্রিয় ভাই ফরহাদকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। আজ বিবেকবান মানুষ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না এই নারকীয় তাণ্ডবতা ও হিংস্রতা। জীবনের সবচেয়ে প্রিয় এবং মূল্যবান জীবনের চেয়ে প্রিয় ইসলামী আন্দোলন ও শাহাদাতের রক্তমাখা এ পথ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বীন কায়েমের অতন্দ্র প্রহরীদের প্রাণের স্পন্দন যতদিন থাকবে, ততদিন শহীদ নোমানীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস স্বর্ণালি অক্ষরে লেখা থাকবে। শহীদ নোমানীর প্রতি ফোঁটা রক্ত মতিহারের সবুজ চত্বরে অভিশপ্ত ঘাতকদের প্রতি অভিশাপের তীর প্রতিনিয়ত নিক্ষিপ্ত হবে।

শহীদ নোমানী তার বহুমুখী প্রতিভার গুণে ছাত্রসমাজের নিকট চির অমর হয়ে থাকবেন। যদিও জাগতিক নিয়মে শহীদ নোমানী আর কখনো ফিরে আসবেন না মতিহারের চিরচেনা প্রিয় ক্যাম্পাসে। কিন্তু শহীদ নোমানী মোমেনশাহী জেলার ফুলবাড়িয়া থানার নিভৃত পল্লীর জান্নাতের বাগানে বসে প্রতিনিয়ত অনুভব করবেন তার রেখে যাওয়া কালজয়ী আদর্শের সাক্ষী প্রিয় ক্যাম্পাসকে।

এক নজরে শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী
নাম : শরীফুজ্জামান নোমানী
পিতা : মু. হাবিবুল্লাহ মাস্টার
মাতা : মোছাম্মাৎ রেজিয়া খাতুন
ভাইবোন : ৪ ভাই ২ বোন ( তিনি পঞ্চম)
স্থায়ী ঠিকানা : আন্ধারিয়া পাড়া (উত্তর), কাঠাখালী, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : নবীনগর বিএচ দাখিল মাদ্রাসা (৮ম শ্রেণী পর্যন্ত), ছনকান্দা দাখিল মাদ্রাসা (দাখিল উত্তীর্ণ), কাতলাসেন কাদেরিয়া আলিয়া মাদ্রাসা (আলিম উত্তীর্ণ), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (অনার্স ও মাস্টার্স উত্তীর্ণ ইসলামী শিক্ষা, এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত)
সাংগঠনিক মান : সদস্য
সর্বশেষ দায়িত্ব : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সেক্রেটারি
আক্রান্ত হওয়ার স্থান : শের-ই-বাংলা হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আঘাতের ধরন : রামদা, কিরিচ, হকিস্টিক, লাঠি-সোটা দিয়ে আঘাত করলে মাথার মগজ বের হয়ে যায়।
যাদের আঘাতে শহীদ : ছাত্রলীগের গুণ্ডাবাহিনী
শহীদ হওয়ার তারিখ : ১৩ মার্চ ২০০৯ (দুপুর সাড়ে ১২ টা)
যে শাখার শহীদ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

 

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী

পিতা

মু. হাবিবুল্লাহ মাস্টার

মাতা

মোছাম্মাৎ রেজিয়া খাতুন

জন্ম তারিখ

নভেম্বর ৩০, -০০০১

ভাই বোন

৪ ভাই ২ বোন ( তিনি পঞ্চম)

স্থায়ী ঠিকানা

আন্ধারিয়া পাড়া (উত্তর), কাঠাখালী, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ

সাংগঠনিক মান

সদস্য

সর্বশেষ পড়ালেখা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত)

শাহাদাতের স্থান

শের-ই-বাংলা হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী

ছবি অ্যালবাম: শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী


শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী

ছবি অ্যালবাম: শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী