শহীদ আবদুল মুনিম বেলাল

০৫ জুন ১৯৮০ - ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯ | ১০৮

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

সিলেট শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে ছায়া ঢাকা-পাখি ডাকা গ্রাম মেদীনি মহল। সুরমা তীরের এই শান্ত সুনিবিড় জনপদের বাসিন্দা আবদুল মালেকের বাড়িতে এক দোয়েল ঢাকা ভোরে চারদিকে সুবাতাস ছড়িয়ে আগমন ঘটে এক আগন্তকের। মা হালিমা খাতুনের কোল জুড়ে মিটমিটিয়ে হাসে নবজাতক। পাড়া প্রতিবেশীদের মাঝে বয়ে যায় আনন্দ-হিল্লোল।

‘আমার এ দুলাল বড় হবে, অনেক বড়। দুনিয়ার সামনে আমার মান-সম্মান উজ্জল হবে’ বলে মা হালিমা জানিয়ে দেন প্রতিবেশীদের পুত্রের আগমনী বার্তা। নাম রাখেন ইসলামের শ্রেষ্ঠ মুয়াজ্জিনের নামে।

মা-বাবার অকৃত্রিম স্নেহ, আর ভাই-বোনদের আদরে মেদিনীমহলের আলোবাতাসে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে বেলাল।
বাড়ীর পাশেই মসজিদ, মক্তব। গ্রামের ছেলে-মেয়েদের সাথে সকাল বেলা মক্তবে পড়তে আসে বেলাল। হুজুরের কাছে পাঠ শেষ করে কোন এক সময় চলে যায় নদীর ধারে। হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়ে মা হালিমার গল্পের কথা, গৌড় গোবিন্দ নামের এক অত্যাচারী রাজা ছিল এ দেশে। তার অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য গাজী বুরহান উদ্দীন গমন করেন আল্লাহর এক ওলীর কাছে। তাঁর নাম হযরত শাহজালাল ইয়ামেনী (র.)।

বেলালের মনের কোনে ভাসতে থাকে হযরত শাহজালালের সিলেট আগমণের ছবি, জায়নামাজে চড়ে সুরমা পাড়ি দেয়ার অলৌকিক দৃশ্য। চোখ যায় সুরমার উত্তর পাশে। বাঁশ ঝাড়ের উপর দিয়ে উঁকি মারছে কয়েকটি বিশাল ভবন। আব্বুর কাছে শুনেছেন এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিং। হযরত শাহজালাল (র.) এর সম্মানার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখা হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এক দ"ষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন সে ভবনগুলোর দিকে।
আবদুল মালিকের ৭ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ বেলাল। বাবা-মার ইচ্ছে, ছেলে বড় হয়ে আলেম হবে- তাদের সম্মান বাড়াবে। পরিবারের প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখবে। দীর্ঘদিন ধরে এ পরিবারটি লালন করে আসছে ইসলামী ঐতিহ্য। একটু বড় হতেই পিতা আবদুল মালিক ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দেন সিলেট শহরের বড় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহজালাল জামেয়া ইসলামীয়ায়।

নিজেকে একজন সত্যিকার আলেম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দিন-রাত সাধনা চালিয়ে যেতে থাকেন বেলাল। স্বপ্ন দিয়েই নিজেকে একজন মেধাবী াত্র হিসেবে প্রমাণ করে ছাত্র শিক্ষক মহলে। দেখতে দেখতে গণ্ডি পেরিয়ে উজ্জ্বল ফলাফল নিয়ে ভর্তি হন আলিম কাসে। জামেয়ার ছাত্রদের কাছে বেলাল একটি আদর্শ নাম। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের অগ্রসেনানি এখন বেলাল। নম্র ভদ্র কোমল ব্যবহার যেকোনো ছাত্রের মন জয় করে নেয় অতি সহজে।
এভাবে পড়াশোনা আর দাওয়াতী কাজের মধ্য দিয়ে বয়ে যেতে থাকে সময়।


সেদিনের মর্মান্তিক ঘটনা
বন্ধুর কাছে একদিন বেলাল শুনতে পান-হযরত শাহজালাল (র.) এর অবমাননা হচ্ছে সিলেটে। আল্লাহর ওলী হযরত শাহজালালের ইজ্জত সম্মান ভূলুণ্ঠিত হবে, তাঁর নামের অবমাননা হবে। শাহজালালের নামের পাশে নাস্তিক মুরতাদদের স্থান হবে এটা কোন মুসলিম যুবক মেনে নিতে পারে না। বেলালও পারেননি। বেলাল জড়িয়ে পড়েন শাবি’র হল ও ভবনের বিতর্কিত নামকরণ বাতিলের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে। সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষধ ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রতিটি কর্মসূচীতে মিছিলে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন স্বতস্ফূর্তভাবে। ২২ ডিসেম্বর ’৯৯। কোর্ট পয়েন্টে সংগ্রাম পরিষদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কানিতে হামলা চালায় পুলিশ। গুলি, লাঠিচার্জ আর টিয়ারগ্যাসে আহত হয় অর্ধশত সংগ্রাম পরিষদ নেতা-কর্মী। লাঞ্চিত হন সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম কর্ণধার ডা. শফিকুর রহমান। গ্রেপ্তার করা হয় মাওলানা হাবিবুর রহমানের মতো সম্মানিত ব্যক্তিদেরও।

এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও ভবনসমূহের বিতর্কিত নাম বাতিল করে হযরত শাহজালালের সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার মধ্য থেকে নামকরণের দাবিতে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ২৫ ডিসেম্বর সিলেটে সকাল-সন্ধা হরতাল আহবান করে। ঘোষণা দেয়া হয় সমাবেশের। বেলাল নিজেকে প্রস্তুত করে নেন। শহীদী মিছিলে তিনি হবেন অগ্রসেনানী। চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে দুপুরে শুরু হয় মিছিল। উদ্দেশ্য কোর্ট পয়েন্ট। সেখানে শাহজালালের ইজ্জত রক্ষার্থে তারই উত্তরসূরিদের সমাবেশ হবে। কিন্তু কী ঘটলো পরে। জিন্দাবাজারে পুলিশ- বিডিআরের ব্যারিকেড! তাহলে কি আল্লাহর ওলীর মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন বানচাল করার নতুন ষড়যন্ত্র! বেলাল অন্য মুজাহিদদের মতো ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন। নেতার নির্দেশ না পেলে সামনে এগোনো যাবে না। ক্রমে ঘনিয়ে আসে যোহরের নামাজের সময়। সামনে বায়তুল আমান জামে মসজিদ। না! দ্বীনের দুশমনদের নির্দেশে পুলিশ-বিডিআর বাধা দিল আল্লাহর ঘরে যেতে। রোযাদার বেলাল তায়াম্মুম করে নামায আদায় করেন সঙ্গীদের সাথে। দু’হাত তুলে মহান মনিবের কাছে মুনাজাত ধরেন, ‘হে পরওয়ারদিগার! তুমিতো জানো আজ আমরা কেন এখানে এসেছি। আমরা মুসলিম যুবকের বেঁচে থাকতে তোমার প্রিয় ওলীর ইজ্জত ভূলুণ্ঠিত হবে, এটা হতে পারে না। প্রয়োজনে আমাদের শহীদ হিসেবে কবুল কর, তবু নাস্তিক মুরতাদদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দিয়ো না। আমীন!

মুনাজাত শেষ হতে না হতেই টিয়ারগ্যাসের ধোঁয়া আর ঝাঁঝালো গন্ধে গোটা জিন্দাবাজার আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। শুরু হয় মুহুর্মূহু গুলিবর্ষণ। শাহজালালের সম্মান রক্ষার আন্দোললেন নেমে আসা হাজার হাজার জনতার উপর হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে পুলিশ-বিডিআর আর নাস্তিক-মুরতাদ বাহিনী।
আল্লাহর ওলীর মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন থেকে ভয়ে পিছিয়ে যাবেন এটা হতে পারে না। নারায়ে তাকবীর ধ্বনি দিয়ে অগ্রসর হন বেলাল। চলে আসেন মিছিরের অগ্রভাবেগ। কিন্তু না! আর অগ্রসর হতে পারলেন না। বিডিআরের বুলেট ঝাঁঝরা করে দেয় মা হালিমার কলিজার টকুরো আবদুল মুনীম বেলালের বুক। সাথে সাথে যেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বেলাল। কিন্তু তার চেহারায় তখনও দৃঢ়তার চিহ্ন। এ দৃঢ়তা যেন সঙ্গীদের প্রচণ্ডভাবে উৎসাহ দিয়ে বলছে; এগিয়ে যাও, হয় শহী নয় গাজী। বেলা ২.৪০ মিনিটে হাসপাতালে নেয়ার পথেই জান্নাতের সিঁড়িতে পা রাখেন আমাদের প্রিয় ভাই বেলাল।

২৬ ডিসেম্বর। ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে নামে হাজারো মানুষের শোকার্ত ঢল। জানাযা শেষে দুপুরে কফিন নিয়ে রওয়ানা দেয় সহস্র তৌহিদী জনতা। উদ্দেশ্য শহীদের বাড়ি। যে সুরমা পাড়ি দিয়ে হযরত শাহজালাল ইসলামের সুমহান আদর্শ নিয়ে সিলেটে প্রবেম করে, সে সুরমার তীর দিয়ে শাহজালাল (র.) এরই উত্তরসূরি তাঁরই সম্মান সমুন্নত রক্ষা করতে গিয়ে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করে লাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে গ্রামের বাড়ি। কীন ব্রীজ পেরিয়ে বরইকান্দির পথ ধরে এগিয়ে যায় শহীদী মিছিল। পথ যত এগুচ্ছে মিছিল যেন ততই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বরই কান্দি, তেলিরাই, গোপশহর, মন্দিরখলা, খালপাড়, মোল্লারগাঁও, সদরখলা, খানুয়া ইনাতাবাদ গ্রাম পেরিয়ে শহীদের কফিন পৌঁছে যায় মেদিনীমহল গ্রামে। এখানে সৃষ্টি হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। মা, ভাই- বোন আর চাচার বুকফাটা আর্তনাদ! হৃদয়স্পর্শী সেই দৃশ্য সবাইকে কাঁদিয়েছিল। বেলালের কফিনের উপর বারবার ঝাঁপ দিয়ে পড়ছিলেন শহীদ জননী হালিমা খাতুন। কেন, কী দোষ করেছিল বেলাল? এই বুকফাটা আর্তনাদে সারা বাড়ি তখন শোকে মুহ্যমান। এ সময় বেলালের বাবা কাছে ছিলেন না। তিনি সৌদি প্রবাসী ছিলেন। ছেলের লাশ দেখা হয়নি তার। ৫ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে বেলাল ছিলেন চতুর্থ। যে গ্রামের আলো-বাতাসে বড় হন, সে গ্রামের উন্মুক্ত ময়দানে জানাযা শেষে নিজবাড়ির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আবদুল মুনীম বেলাল।

এক নজরে শহীদ আবদুল মুনীম বেলাল
নাম : আবদুল মুনীম বেলাল
পিতার নাম : আবদুল মালিক
সাংগঠনিক মান : সাথী প্রার্থী
সর্বশেষ পড়াশোনা : আলিম ২য় বর্ষ
সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : শাহজালাল জামেয়া ইসলামী পাঠানটুলা মাদরাসা
আহত হওয়ার স্থান : সিলেট জিন্দাবাজার
শহীদ হওয়ার স্থান : হাসপাতালে নেয়ার পথে
আঘাতের ধরন : গুলি
যাদের আঘাতে শহীদ : পুলিশ-বিডিআর
শহীদ হওয়ার তারিখ : ২৫.১২.১৯৯৯ইং
যে শাখার শহীদ : সিলেট শহর
স্থায়ী ঠিকানা : মেদিনীমহল (পাইকারগাঁও), কান্দিগাঁও, সদর, সিলেট
জন্ম তা: ৫/৬/১৯৮০ ইং
শিক্ষা জীবন : ১ম ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত রইকান্তি ইসলামীয় আলিম মাদরাসা
৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হন ঐতিহ্যবাহী দ্বীন বিদ্যাপীঠ শাহজালাল জামেয়ারা ইসলামীয় কামিল মাদরাসা পাঠানটুলায়, এই মাদরাসা থেকে ১৯৯৮ সালে দাখিল পাস করেন। ১৯৯৯ সালে এ মাদরসাার আলিম পরীক্ষার্থী থাকাবস্থায় তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
সাংগঠনিক জীবন : তিনি সাংগঠনের সাথী প্রার্থী ছিলেন। শাহাদাতকালে তিনি মাদরাসা ছাত্রাবাসের সভাপতি ছিলেন।
প্রিয় শখ : ইসলামী সঙ্গীত গাওয়া।

আব্বুর প্রতিক্রিয়া (আব্দুল মালিক)
তিনি বলেন সে অত্যন্ত ভাল ও ভদ্র ছেলে ছিল। সে সবসময় পায়জামা পাঞ্জাবী ব্যবহার করতে। আমি বিদেশে থাকাবস্থায় ফোন করে বলত বাবা আপনি আগে আম্মুকে নিয়ে হজ্জ্ব করে ফেলেন। কারণ মানুষের মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। বড় ভাই আব্দুল মুহিত দুলাল ভাই বরেন শাহাদাতের ৪ দিন পূর্বে সে আমাকে বরে ভাইয়া আমি যদি হঠাৎ মারা যাই তাহলে আমার টাকা ও সম্পদ যা আছে তা গরীব মানুষের মধ্যে দান করে দিবেন।

এলাকার কেউ অন্যায় করলে সে সমাজের যত বড়ই হোক না কেন যে সরাসরি এর প্রতিবাদ করত। এলাকার যেকেনো বিপদে আপদে সে চলে যেত। এলাকার কাউকে কোনো কষ্টের কাজের মধ্যে দেখলে সাথে সাথে এই ব্যক্তির সাথে সহযোগিতায় নেমে যেত। সে সবসময় ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়তো এবং ঘর ও বাড়ির সবাইকে নামাজ পড়ার জন্য তাগিদ দিত।

শাহাদাতের পূর্বে রমজান মাসের শুরু থেকেই এলাকার মহিলাদের তারাবীহ এর নামাজ পড়ার জন্য ব্যবস্থা করে। যে পাড়া প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে অত্যন্ত ভাল সম্পর্কে রাখত এবং তাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রতিক্রিয়া যে মাদরসার আলিম পরীক্ষায় ছিলেন সে মাদরসার প্রিন্সিপাল জনাব লূৎফুর রহামন হুমায়দী বলেন ১৯৯২ আমি মাদরসার ব্যাপক পরিচিতির জন্য এক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এ উদ্দেশ্যে আমি মাদরসার লিফলেট বিতরণ ও পোষ্টার লাগানোর জন্য কয়েকজন ছাত্রকে দায়িত্ব দিয়ছিলাম। সে ছিল সেই গ্রুপের একজন। সেই একমাত্র সবচেয়ে ভালভাবে তারপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে।

সেই সময়ের বেলক্ষাইলে কাস টিচার বর্তমানে ঐ মাদরসার ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার বলেন সে আমার কাসের অনগণ্য ১০টি ছাত্রের চেয়ে ব্যতিক্রম ছিল। অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী ও সদালীপী, শান্ত ও নিরহংকারী একটি ছেলে ছিল। বাড়ীদূরে থাকায় সে কাসে দেরীতে আসত আমি যেজন্য তাকে বকাঝকা করতাম। তখন সে শুধু হাসত কিন্তু কোনো কথার জবাব দিতনা।

মাদরাসার শিক্ষক ছাত্র ও কর্মচারীদের সাথে সে সবসময় ভাল ব্যবহার করত এবং হাসি মুখে কথা বলত। সেজন্য সকল শিক্ষা করা তাকে খুবই ভালবাসতেন। বেলাল ভাইয়ের প্রিয় ঐ সময়ের ছাত্রাবাসের সুপার জনাব ক্বারী আল হায়দার বলেন শাহাদাতের পূর্বের দিন রাত আমি বেলালকে দেখেছি সারারাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে। পরের দিন শহীদ দিন মিছিলে যাওার আগে সে আমাকে জিজ্ঞেস করে কেউ যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে যায় এবং সে মিছিলে সে মারা যায় তাহলে কি সে শহীদ হবে? আমি বলেছিলাম অবশ্যই সে শহীদ হবে। তারপর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এর হলে নামকরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে যায় এবং সে মিছিলে সে বিডিআর এর বুলেটে শাহাদাত বরণ করেন। আল্লাই পাক তার শাহাদাত কবুর করুক আমীন।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ আবদুল মুনিম বেলাল

পিতা

আবদুল মালিক

মাতা

হালিমা খাতুন

জন্ম তারিখ

জুন ৫, ১৯৮০

ভাই বোন

৭ জন

স্থায়ী ঠিকানা

মেদিনীমহল (পাইকারগাঁও), কান্দিগাঁও, সদর, সিলেট

সাংগঠনিক মান

সাথী প্রার্থী

সর্বশেষ পড়ালেখা

আলিম ২য় বর্ষ, শাহজালাল জামেয়া ইসলামী পাঠানটুলা মাদরাসা

শাহাদাতের স্থান

সিলেট জিন্দাবাজার


শহীদ আবদুল মুনিম বেলাল

ছবি অ্যালবাম: শহীদ আবদুল মুনিম বেলাল


শহীদ আবদুল মুনিম বেলাল

ছবি অ্যালবাম: শহীদ আবদুল মুনিম বেলাল