শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩

কাদিয়ানী অপতৎপরতা বিরোধী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ কর্তৃক গুলি চালিয়ে ১ জন মুসল্লিকে হত্যা ও অসংখ্য মুসল্লিকে জখম করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ!

পঞ্চগড়ে মুসলিম নামে বিভ্রান্তকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে নিষিদ্ধ ও তাদের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ কর্তৃক গুলি চালিয়ে ১ জন সাধারণ মুসল্লিকে হত্যা ও অসংখ্য মুসল্লিকে জখম করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, "সাধারণ মুসল্লিদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ জন মুসল্লিকে হত্যা ও অসংখ্য মুসল্লিকে জখম করেছে! এ বর্বরতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। সর্বশেষ নবী রাসূল সা.-কে অস্বীকার করার কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সকল আলেম-উলামা, ইসলামিক স্কলারসহ মুসলিম উম্মাহর কাছে কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের হিসেবে ঘোষিত। রাসূল সা.-কে শেষ নবী না মানলে কারো পক্ষেই মুসলিম থাকা বা মুসলিম পরিচয় দেওয়ার অধিকার থাকে না। এটা সরাসরি ইসলাম অবমাননা।

সুতরাং রাসূল সা.-এর নবুয়তকে অস্বীকার করে কাদিয়ানীরা কোনোভাবেই নিজেদের মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে পারে না। এ বিভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বিভ্রান্তিকর উস্কানিমূলক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন সাধারণ মুসল্লিরা। পুলিশের উচিত ছিল মুসল্লিদের সহায়তা করা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধ করা। কিন্তু কোন ইসলামবিরোধী অপশক্তির ইশারায় পুলিশ উল্টো নিরীহ মুসল্লিকে গুলি করে হত্যা করেছে, জাতির তা বুঝতে বাকি নেই।"

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, "রাসূল সা.-কে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারের পর কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কোনো অধিকার নেই, তা সকল মুসলমানের কাছে সুস্পষ্ট। তবুও ষড়যন্ত্রকারীদের ক্রীড়নক হয়ে মুসলিম নাম নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াতে যুগের পর যুগ অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে কাদিয়ানী সম্প্রদায়।

দেশের সকল আলেম-উলামা বহুবার কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার দেশের সকল মুসলমানের বিপক্ষে গিয়ে কাদিয়ানীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই এ অপকর্মে জড়িতদেরও নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়ার আগে লজ্জাবোধ করা উচিত। অবিলম্বে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। মুসলমানদের ঈমান রক্ষায় ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সকল প্রকার অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। মুসল্লি হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আহত মুসল্লিদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় পঞ্চগড়ের ক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।"