বুধবার, ০৯ মার্চ ২০২২

রাজশাহীতে পুলিশ কর্তৃক অন্যায়ভাবে ৫৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, আবারো পরিকল্পিতভাবে নিরপরাধ ছাত্রদের জীবন ধ্বংসের নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে অবৈধ সরকারের দায়িত্বহীন পুলিশ বাহিনী। গত ৬ মার্চ কোনো কারণ ছাড়াই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার স্বপ্নপল্লী পার্কে কর্মীদের মানোন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম থেকে বাসায় ফেরার পথে বাস থামিয়ে ২০২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১৪৯ জনকে ছেড়ে দিলেও ৫৩ জনকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আদালতে প্রেরণ করলে তাদের অন্যায়ভাবে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। এ অন্যায় গ্রেপ্তারের পক্ষে কোনো যৌক্তিকতা ছিলোনা। গ্রেপ্তারের জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি পুলিশ। বরং লজ্জাজনকভাবে দায়িত্বহীনতাকে আড়াল করতে পুলিশ কর্মকর্তা ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, নাশকতার পরিকল্পনার দায়ে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মুখস্তবুলি আওড়িয়েছে। জাতি জানতে চায়, একটি পার্কে প্রকাশ্য দিবালোকে দুই শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান গোপন বৈঠক হয় কীভাবে! শান্তিপূর্ণ দলীয় কর্মসূচি কোন আইনে পুলিশের কাছে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে? দেশের সংবিধান থেকে অনুষ্ঠান, সভা সমাবেশ করার অধিকার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি তুলে দেয়া হয়েছে কি না! যদি তুলে দেওয়া না হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ আইনের পবিত্র পোষাকে এমন বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে কীসের ভিত্তিতে? নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার পুলিশের কোন দায়িত্বের মধ্যে পড়ে? মূলত মেধাবী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য পুলিশ এই অনৈতিক ও দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। পরিকল্পিতভাবে নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এই দায়িত্বহীন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। নিরপরাধ ছাত্রদের নিয়ে সরকার ও পুলিশের এই নির্মম তামাশায় জাতি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অবৈধ সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আইনের লেবাসে এসব দলীয় পুলিশের দায়িত্বহীন বাড়াবাড়ি জাতিকে চরমভাবে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। অবৈধ সরকারের অনৈতিক অনুকম্পা পেতে অতি উৎসাহি পুলিশ সদস্যরা বরাবরই এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের জন্ম দিচ্ছে। যা জনগণকে দারুণভাবে আশ্চর্যান্বিত করছে। ফলে জনগণের কাছে পুলিশ এখন আস্থাহীনতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। পুলিশের এমন ধারাবাহিক প্রতিহিংসাপূর্ণ তামাশায় হাজারো মেধাবী ছাত্রের শিক্ষাজীবন আজ ধ্বংসের মুখে। জনগণ নিজেদের কষ্টের অর্থে পুলিশকে লালন করে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ার জন্য নয়। অবিলম্বে এমন বেআইনি ও ঘৃণ্য অপকর্ম বন্ধ করে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। জনগণ আর এমন অমানবিক তামাশা দেখতে প্রস্তুত নয়।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিরপরাধ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে এবং ভবিষ্যতে এমন দায়িত্বহীন কাজ থেকে বিরত থাকতে সরকার ও পুলিশের প্রতি আহবান জানান।