সোমবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

শাবিপ্রবি’তে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলা, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসনের উপস্থিতিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসভ্য ও বর্বরতার নজীর স্থাপন করেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসনের উপস্থিতিতে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃন্ময় দাস ঝুটনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান, আশরাফ কামাল আরিফ, সজিবুর রহমান, ঋষাণ তন্ময়, মাহবুবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শফিউল হক রাব্বি এ হামলা চালিয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে আহত শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এবং প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর উপস্থিত থাকলেও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

অন্যদিকে একই কায়দায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও শর্টগানের গুলি ছুড়েছে। এ হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী-শিক্ষক আহত হয়েছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের দুর্দশায় ফেলেছে।

নেতবৃন্দ বলেন, বরাবরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালনের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মদদ যুগিয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নতজানু নীতির কারনেই ছাত্রলীগ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে হামলা, নির্যাতন চালাচ্ছে। শিক্ষাথীদের নিরাপত্তার জিম্মা নিয়ে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের কাছে নতজানু থাকলে এমন গুরত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল পদে থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন দায়িত্বহীন ভূমিকার কারণে বহু ছাত্রের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে জঙ্গিবাদী ছাত্রলীগ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনৈতিক অবস্থান নিলেও শিক্ষার্থীরা যে কোন ন্যায্য দাবীতে সব সময় অটল থাকবে। শিক্ষার্থীদের ওপর অব্যাহত সন্ত্রাসী হামলা নির্যাতন ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অবশ্যই দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ কঠোর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।