বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১

কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননা ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে ৩ জন মুসলমানকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দিঘীড়পাড় পূজা মণ্ডপে হিন্দু দেবতা হনুমানের পায়ে পবিত্র কুরআন রেখে কুরআনের অবমাননা ও এ ঘটনার প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় তৌহিদি জনতার স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচিতে বর্বর হামলা চালিয়ে ৩ জন মুসলমানকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, জাতি গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছে কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে হিন্দু দেবতা হনুমানের পায়ে পরিকল্পিতভাবে পবিত্র কুরআন রাখা হয়েছে। যা শুধু বাংলাদেশ নয় বরং বিশ্বের সকল মুসলমানসহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কলিজায় আঘাত করেছে। এ কাজ কোন সভ্য মানুষের হতে পারে না। এর প্রতিবাদে চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে তৌহিদী জনতার স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ৩ জন কুরআন প্রেমী মুসলমানকে গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে কতিপয় দায়িত্বজ্ঞানহীন বর্বর পুলিশ সদস্য। আহত করা হয়েছে অনেককে। পবিত্র কুরআনের এমন নিকৃষ্ট অবমাননা ও পুলিশের নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৩ জন নিরীহ কুরআন প্রেমী মানুষকে হত্যা দেশের মানুষকে হতবাক করেছে। এই নিন্দনীয় কাজ প্রতিটি মুসলমানসহ বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে। লজ্জার বিষয় হলো, অপরাধীদের গ্রেফতার না করে পুলিশের অতি উৎসাহী বিকৃত মনা কিছু সদস্য উল্টো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বুকে গুলি চালিয়েছে। যা কুরআন অবমাননার মত নিকৃষ্ট কাজকে নিঃসন্দেহে উৎসাহিত করেছে। এর আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদ করার সময় পুলিশ গুলি চালিয়ে শিশুসহ নিরীহ মুসলমানদের হত্যা করেছে। যার কোন বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। ধর্মীয় বিশ্বাস ও কুরআনের উপর আঘাত নিয়ে সরকারের রহস্যময় নিষ্ক্রিয়তা অসভ্য ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য উৎসাহী ভূমিকা পালন করেছে। কোনভাবেই পূজা মণ্ডপে দেবতার পায়ে কুরআন থাকার কথা নয়। এসব ঘৃণ্য কাজের পেছনে সহিংসতাকে উস্কে দিয়ে অপশক্তির ফায়দা হাসিলের একটি সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্রের অপপ্রয়াস থাকতে পারে বলে দেশাবাসী মনে করছে। কুরআন অবমাননা ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের পেছনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোন গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা বিবেচনায় নেয়ার জন্য আমরা দেশাবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলিমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, মুসলিমদের জীবনের চেয়েও প্রিয় পবিত্র কুরআন অবমাননা করলে তারা চুপ থাকবে; বরং সুশৃঙ্খল পন্থায় এর প্রতিবাদ জানানো প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দাবী। আমরা অবিলম্বে পবিত্র কুরআনের অবমাননাকারীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছি। নেতৃবৃন্দ কুরআন প্রেমী মুসলমানদের বুকে গুলি চালানো বর্বর পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার আহবান জানান।