মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুরআন ক্লাস থেকে অন্যায়ভাবে ২০জন শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুরআন ক্লাস থেকে অন্যায়ভাবে ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং তাদের জড়িয়ে পুলিশের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন ও সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকার ছাত্রশিবিরকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে দমন নিপীড়ণ ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আজ কোন কারণ ছাড়াই অন্যায় ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘরের একটি মসজিদ থেকে ছাত্রশিবিরের নিয়মিত প্রোগ্রাম কুরআন ক্লাস থেকে অন্যায়ভাবে ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই অন্যায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ নিরপরাধ শিবির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে তাদের মুখস্ত বুলি ‘জিহাদী বই’ উদ্ধারের গল্প প্রচার করেছে। এ গ্রেপ্তার যেমন অন্যায় ভাবে হয়েছে তেমনি তাদের বক্তব্যেও সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও সাজানো। কুরআন ক্লাস ছিল ছাত্রশিবিরের নিয়মিত প্রোগ্রামের অংশ এবং সেখান থেকে পুলিশ বেআইনি কিছুই পায়নি। তবুও দেশের স্বীকৃত প্রকাশনীর ইসলামী বই-পুস্তক ও কুরআন-হাদিস জব্দ করে এগুলোকে জেহাদী বই হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। মূলত ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং মেধাবী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পুলিশ এই অনৈতিক ও দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। পরিকল্পিত ভাবে নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এই দায়িত্বহীন আচরণ কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। একটি মুসলিম দেশে কুরআন ক্লাসের প্রোগ্রামে পুলিশের এমন দায়িত্বহীন আচরণ জাতির জন্য চরম লজ্জা ও হতাশার বিষয়। আমরা এই ঘৃন্য অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিপূর্বে বহুবার পুলিশ নিরপরাধ শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে জিহাদি বইয়ের নাটকসহ বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করেছে। যা সময়ের ব্যবধানে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে এবং মিথ্যাচারের জন্য পুলিশ জনগণের ধিক্কার কুড়িয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো নাটক মঞ্চায়নের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। পুলিশের এই ধারাবাহিক অমানবিক দায়িত্বহীনতায় হুমকির মুখে আজ হাজারো ছাত্রের জীবন। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রশিবির আদর্শবাদী সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ পথ চলায় বিশ্বাসী। পুলিশের এই প্রতিহিংসাপূর্ণ তামাশায় বহু মেধাবী ছাত্রের শিক্ষা জীবন আজ ধ্বংসের মুখে। আমরা অবিলম্বে এই বেআইনি কর্মকান্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে এমন অন্যায় গ্রেপ্তার ও সাজানো নাটক থেকে বিরত থাকতে এবং গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে প্রসাশনের প্রতি আহবান জানান।

মাহফুজুর রহমান
সহকারী প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

 

সংশ্লিষ্ট