শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কবি আল মাহমুদের ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের গভীর শোক

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ শোক বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড.মোবারক হোসাইন ও সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের সকল স্তরের জনশক্তিসহ বাংলাদেশের জনগণ গভীর ভাবে শোকাহত।

নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি বাংলাদেশর এক উজ্জল নক্ষত্র। আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাকভঙ্গিতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি তিনি। এছাড়া তিনি ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। তার অনবদ্য সৃষ্টি লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।

সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, কিশোর কন্ঠ সাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কবি। আমাদের নিজস্ব সাহিত্য সত্তা ও ইসলামী সাহিত্যে তার ভূমিকা অতুলণীয়। তার রেখে যাওয়া সাহিত্য ভান্ডার নতুন নতুন কবি সাহিত্যিক তৈরীতে অগ্রণী ভ’মিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালবাসা এবং সহযোগিতা মূলক ভূমিকা জাতি কখনোই ভ’লবে না। ছাত্রশিবিরের প্রতি তার ভালবাসা ও প্রত্যাশা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ মহান এই কবির ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের প্রতিটি জনশক্তি শোকাহত। বাংলার জমিনে সাহিত্য জগতে তিনি প্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবেন অনন্ত কাল। বাংলাদেশের মানুষ তাকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করবে।

নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবার যেন ধৈর্য্যধারণ করতে পারে সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।