মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

ইসলামী সমাজ বিনির্মানের মাধ্যমে ২৮শে অক্টোবরের শহীদদের রক্তের বদলা নেয়া হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শিবির নেতাকর্মীদের হত্যা করে বাংলার জমিন থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করতে চেয়েছিল আ.লীগ। কিন্তু খুনের রাজনীতির ধারক আওয়ামীলীগের স্বপ্ন পূরণ হয়নি বরং বুমেরাং হয়েছে। শহীদ মুজাহিদ, শিপন মাসুমদের রক্ত বৃথা যাবেনা তা আজ প্রমাণিত সত্য। জাতি শহীদদের ভূলে যায়নি। ইসলামী সমাজ বিনির্মানের মাধ্যমে ২৮শে অক্টোবরের শহীদদের রক্তের বদলা নেয়া হবে।
তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব আয়োজিত ২৮শে অক্টোবরে পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি এম শামিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আনিসুর রহমান বিশ্বাস, সমাজসেবা সম্পাদক রাশেদুল হাসান রানা।
শিবির সভাপতি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাবার কথা ছিল, তা সম্ভব হয়নি অপশাসন, সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির কারণে। আর ইতিহাস সাক্ষী অপশাসন ও সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির সিংহভাগ দায় আওয়ামীলীগের ওপরই বর্তায়। ৭১ পরবর্তী সময়ে রক্ষী বাহিনী গঠন থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের দিয়ে একের পর এক মানুষ খুন করেছে। একই সাথে তারা খুন করেছিল গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক অধিকার। এখনো একই ধারা অব্যাহত আছে। বাকশালী মনোভাবাপন্ন এই দলকে কোনভাবেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না। উল্টো তারা যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। যার নমুনা বর্তমান প্রজন্ম নব্য আওয়ামী বাকশালের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মুজাহিদ-মাসুমদের হত্যা করে আওয়ামীলীগ যে কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে তার ক্ষত আজো বাংলাদেশ বয়ে বেড়াচ্ছে। সেদিনের খুনীরা আওয়ামী প্রশ্রয়ে আজো সক্রিয়। তারাই পরবর্তী সময়ে দেশ ও ইসলাম প্রিয় ছাত্র-জনতা, আলেম উলামা, মহিলা, শিশু, বৃদ্ধের উপর গণহত্যা চালিয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন করে শহীদ করা হয়েছে আব্দুল কাদের মোল্লা ও কামারারুজ্জামানকে। অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আর বিচারের নামে প্রহসনকে মাত্রা দিতে শাহবাগের যে নাটক সাজানো হয়েছিল সেখানেও ২৮শে অক্টোবরের চিহ্নিত খুনিরা সক্রিয় ছিল।
শিবির সভাপতি বলেন, ষড়যন্ত্রের জাল দিয়ে শহীদের রক্তকে ঢেকে দিতে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাতিল শক্তি। কিন্তু মুজাহিদ, মাসুম, শিপনদের শাহাদাত বৃথা যায়নি। তাঁদের শাহাদাত থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ ইসলামী আন্দোলনের পথে এগিয়ে এসেছে। শহীদি মিছিল যেমন দীর্ঘায়িত হয়েছে, দেশের জনগণ তেমনই জামায়াত-শিবিরের পতাকাতলে শামিল হয়েছে। যার প্রমাণ দেশ-বিদেশে অধ্যাপক গোলাম আযম, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা, শহীদ কামারুজ্জামানের জানাজায় মানুষের ঢল। একই ভাবে গত উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের অকাতর সমর্থন ইসলাম বিরোধী শক্তির পিলে চমকে দিয়েছে। আর শহীদের রক্ত বৃথা যায়না এটাই ঐতিহাসিক বাস্তবতা। বাংলার জমিনেও সময়ের ব্যবধানে শহীদের রক্ত কথা বলবে ইনশাআল্লাহ।
আলোচনা সভা শেষে ২৮ অক্টোবরের শহীদ ভাইদের জন্য শিবির সভাপতির পরিচালনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট