মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০১৫

মীর জাফরের প্রেতাত্মাদের রুখে দিতে দৃপ্ত শপথ নিতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার কলঙ্কিত অধ্যায় পলাশীর ঘটনার শত বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা বিলিন হয়ে যায়নি। মীর জাফরদের প্রেতাত্মারা আবার জাতি ঘারে চেপে বসেছে। তাই মীর জাফরের প্রেতাত্মাদের রুখে দিতে দৃপ্ত শপথ নিতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাতের পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, এইচ আরডি সম্পাদক মশুরুর হোসাইন।
সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, জাতি এমন এক সময়ে পলাশী দিবস পালন করছে যখন মীরজাফর-ঘষেটি বেগমের প্রেতাত্মারা জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতাকে পায়ে দলে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আঁকড়ে আছে। বহু আন্দোলন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। তারা জনগণকে গোলাম বানাতে চায়। আর এদেশকে বানাতে চায় আধিপত্যবাদের কলোনি। বিনা ভোটের অদ্ভুত এক সরকার গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। রাষ্ট্রীয় শক্তিকে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করে জনগণের উপর নিপিড়ন চালাচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে জাতি বিভেদ প্রকট করে তুলছে। দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে একর পর এক নতজানু নীতি গ্রহণ করছে। দেশ বা জনগণ নয় ক্ষমতার লোভই তাদের কাছে বড়। এ যেন জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফরদের অপকর্মেরই প্রতিচ্ছবি।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস শুধু পলাশীর প্রান্তরে থেমে যায়নি। নির্যাতিত নিপিড়িত জনতা সময়ের ব্যবধানে জেগে উঠে ছিল। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তুলে ছিল। ক্ষমতা লোভি অপশক্তিকে বিতারিত করেছিল। সুতরাং আজকের দখলবাজরাও চিরস্থায়ী নয়। পলাশীর চেতনায় উদ্ধোদ্ধ হয়ে মীর জাফরী প্রেতাতœাদের রুখে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে গেলে তারাও মুক্তিকামী জনতার রোষানলে পড়ে পরাজিত হতে বাধ্য হবে। বিশ্বাস ঘাতকদের মত ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

সংশ্লিষ্ট