রবিবার, ২৪ মে ২০১৫

মুহাম্মদ আবদুল জব্বার

এই কাফেলা রুখতে পারে সাধ্য কার?

বিশ্বব্যাপী ইসলামের অগ্রযাত্রায় ইসলাম বিদ্বেষীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এর গতিকে স্তিমিত করার জন্য নানা কায়দায় ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালারদের উপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। হযরত সুমাইয়া, হযরত উমার, হযরত হামজা, খুবাইব, খাব্বাব, আম্মার ইয়াসির (রাঃ) সহ অসংখ্য সাহাবী থেকে শুরু করে ইমাম আবু হানিফা (র.), মিশরের হাসান আল বান্না, সাইয়েদ কুতুব, জাস্টিস আব্দুল কাদের আওদাহ, হামাসের শেখ আহমেদ ইয়াসিন, লিবিয়ার ওমর মুখতার, বাংলাদেশের আব্দুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানের পথ ধরে মুরশিদে আম ড. মুহাম্মদ বদি, ড. মুহাম্মদ মুসরিও। বাংলাদেশে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ বিভিন্ন দেশে অনেককে রাজনৈতিক ও আদর্শিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিচারিক হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করছে ইসলাম বিদ্বেষী চক্র ।


কোথাও রাষ্ট্রদ্রোহীতা, কোথাও জঙ্গি সম্পৃক্ততা, কোথাও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করে, আবার কোথাও নিজেদের পৃষ্টপোষকতায় জঙ্গি গোষ্টি বানিয়ে ইসলামের অগ্রযাত্রায় কালিমা লেপন করাই তাদের মূল লক্ষ্য। এই ষড়যন্ত্র শুধু মিশর, বাংলাদেশ, লেবানন, সোমালিয়া, সুদান, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মায়ানমার, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া বা কাশ্মিরে সীমাবদ্ধ নয়। দুনিয়ার সর্বত্রই চলছে তাদের এহেন হিংস্র বর্বর নখরযুক্ত থাবা।


ওরা কি সব নিঃশেষ করে দিতে পারবে? এর আগেও ইসলামী আদর্শের ধারকদের যুগে যুগে অবর্ননীয় নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। নবী রাসুলদের করাত দিয়ে চিরে মাথা দ্বিখন্ডিত করা হয়েছিল, তাদের অনুসারীদের জলন্ত আঙ্গারে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছিল, টগবগে ফুটন্ত তেলে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, ঝুলানো হয়েছিল ফাঁসির কাষ্ঠে। সেই ধারাবাহিকতায় সাহাবায়ে আজমায়িন ও রাসুল (সঃ) এর অনুসারী ইসলামী ঝান্ডাবাহীদের উপর এখনো নতুন নতুন কায়দায় চলছে বর্বরতা। আদর্শিক লড়াইয়ে পরাজিত হয়েই তারা এই কুটকৌশলের পথ বাছাই করে নিয়েছে। কিন্তু প্রতিটি নির্মম ঘটনাই ইসলামী আদর্শের ধারকদের আরো তীব্রবেগে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরনা যুগিয়েছে, থেমে থাকেনি মর্দে মু'মিনদের নির্ঘূম পথচলা। এই কাফেলা রুখতে পারে সাধ্য কার…?


ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়, ইসলামী আদর্শের প্রতি মানুষ আরো আকৃষ্ট হয়, ইসলাম সম্পর্কে জানার-বুঝার আগ্রহ বাড়ে বহুগুনে, জনপদে জনপদে ইসলামের বিজয় নিশানা উড়ে পতপত করে; যদি ইসলামী আদর্শের ধারকরা হয় উন্নত চরিত্রের অধিকারী ও নির্ভিক, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে হাসি মুখে। মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, “এরা মুখের ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়। অথচ আল্লাহর ফায়সালা হলো তিনি তাঁর নূরকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন, কাফেররা তা যতই অপছন্দ করুক না কেন। তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রাসূল (সা.) কে হিদায়াত এবং দ্বীনে হক্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এ দ্বীনকে অন্য সকল দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন, চাই তা মুশরিকদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন। (কুরআন ৬১:৮-৯)।


দয়াময় আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে সদা ফরিয়াদ করি `কখনো আমাদের শামিল করে নিও তোমার প্রিয় মকবুল গোলামদের কাতারে, এর আগমুহুর্ত পর্যন্ত শহীদদের রেখে যাওয়া কাজ যথাযথভাবে আঞ্জাম দেয়ার তৌফিক দিও হে মহামহিম’। আমীন।

সংশ্লিষ্ট