সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

সমাজ পরিবর্তনে জ্ঞান চর্চাকে প্রাধান্য দিতে হবে- রাশেদুল ইসলাম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, ঘুণেধরা সমাজ পরিবর্তন ও কল্যাণময় আদর্শিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রশিবির এগিয়ে চলেছে। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে জ্ঞান চর্চাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ও সাথী মেধা যাচাই পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, জ্ঞান চর্চা ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ এবং জ্ঞান আহরণে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। উত্তম জ্ঞান চর্চা কীভাবে করতে হয় তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শেই সর্বোত্তমভাবে প্রদর্শিত রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মৃত্যুর পর ব্যক্তির সকল আমলনামা বন্ধ হয়ে গেলেও সেই ব্যক্তির জ্ঞানের দ্বারা যতদিন মানুষ উপকৃত হতে থাকবে, ততদিন তিনি সাদাকায়ে জারিয়ার সওয়াব পেতে থাকবেন। ইসলামে ঈর্ষা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হলেও আদর্শিক ও সমাজের জন্য কল্যাণকর জ্ঞানের ব্যাপারে তা বৈধ করা হয়েছে। জ্ঞানের উন্মেষ ঘটিয়েই বিশ্ববাসীকে সোনালি যুগ উপহার দিয়েছিল মুসলিমরা। আজ পৃথিবীতে প্রায় ১৯০ কোটি মুসলমান- যা দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ জাতি। কিন্তু সবচেয়ে পিছিয়ে আছে মুসলমানরাই; অথচ একসময় মুসলমানদেরই সোনালি ইতিহাস ছিল।

তিনি বলেন, আমাদের সেই সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে আবারও জ্ঞান চর্চাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যে জ্ঞান মানুষের জন্য, সমাজের জন্য কল্যাণকর সে জ্ঞান মেধাবীদের জন্য ঈর্ষার কারণ হওয়া জরুরি। সাধারণত মানুষ তার অর্জিত জ্ঞানকে শুধু নিজের কল্যাণ ও ব্যক্তিগত স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। কিন্তু ছাত্রশিবির এমন মানুষ তৈরি করেছে- যারা নিজেদের জ্ঞান দেশ, জাতি ও ইসলামের জন্য কাজে লাগাচ্ছে। ছাত্রশিবির কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মেধা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে সেই কর্ডোভা, বাগদাদ ও সোনালী যুগের ইতিহাসের মতো লোক তৈরি করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করি ছাত্রশিবিরের এ জ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে জ্ঞান চর্চার দ্বার উন্মোচন করার জন্য লোক তৈরি করবে ইনশাআল্লাহ। শুধু জ্ঞান অর্জনই নয়; তারা আমলের দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখবে, ইনশাআল্লাহ।