সোমবার, ১৬ মে ২০২২

রাজশাহী মহানগর শিবির সেক্রেটারিসহ ৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (রাহি:)‘র শাহাদাত বার্ষিকী উপলেক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা থেকে ফেরার পথে অন্যায়ভাবে রাজশাহী মহানগর শিবিরের ৬ নেতাকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে দেশে অস্বাভাবিক ও অসহনীয় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অন্যায়ভাবে ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগর শাখার সেক্রেটারি ডা. উসামাহ রাইয়ান, অফিস সম্পাদক মো. সিফাত আলম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. শাফিউল আলম, সাহিত্য সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন সোহাগ, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মো. মিকদাদ হোসাইন ও শাখার সাথী মো. আব্দুর রহমানকে ঘরোয়া প্রোগ্রাম থেকে ফেরার পথে অন্যায়ভাবে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের এমন দায়িত্বহীন লজ্জাজনক কর্মের সাক্ষী হয়েছে ও পুলিশকে ধিক্কার জানিয়েছে রাজশাহীবাসী।

অন্যদিকে নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি পুলিশ। বরং লজ্জাজনক দায়িত্বহীনতাকে আড়াল করতে পুলিশ কর্মকর্তারা, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতা পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ায়র দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মুখস্ত বুলি আওড়িয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজিরের আইন থাকলেও সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। গত ১২ মে রাত ৯টার পর রাজশাহী মহানগরীর কর্ণহার থানা পুলিশ গ্রেফতার করলেও মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ডিবির মাধ্যমে গ্রেফতার দেখিয়ে নেতৃবৃন্দকে ১৪ মে দুপুরে আদালতে হাজির করেছে। এভাবে আইনের লেবাসে বেআইনি কর্মকান্ডের নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করেই চলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আইনের পোষাকে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেআইনি, দায়িত্বহীন, অমানবিক ও একটি দলের সেবাদাসমূলক ভূমিকার কারণে তারা জনগণের আস্থার বদলে ঘৃণা, ধিক্কার ও বিরক্তির প্রতিকে পরিণত হয়েছে। যা একটি জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের পোষাক ও শপথের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।