শনিবার, ১৪ মে ২০২২

১১৬ বরেণ্য আলেমের বিরুদ্ধে কথিত শ্বেতপত্র প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

চিহ্নিত ইসলাম বিদ্ধেষী, দূর্নীতিগ্রস্ত, চাঁদাবাজ ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের কর্তৃক জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কাল্পনিক অভিযোগ এনে ১১৬ বরেণ্য আলেমের তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, ১১৬ জন বরেণ্য আলেমের বিরুদ্ধে যে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে, তাতে দেশবাসী স্তম্ভিত। এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা শুধু আলেমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়। বরং দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। উল্লিখিত আলেমগণ দেশ-বিদেশে ইসলামের খেদমত করে আসছেন। তদের প্রতি দেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। কিন্তু শ্বেতপত্রে সম্মানিত শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাদের সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর, অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করে তাদের হেয় করা হয়েছে। এ ধৃষ্টতা অমার্জনীয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্বেতপত্র প্রকাশকারীরা বহু আগে থেকেই জাতির কাছে ইসলাম বিদ্বেষী, দূর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, অনৈতিক ও দেশ-বিদেশী ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়নকারী হিসেবে পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত। কথিত ভুঁইফোর সংগঠন গণকমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক একজন চরম বিতর্কিত নীতিহীন ব্যক্তি হিসেবে জাতির কাছে পরিচিত। তিনি নিজেই বলেছেন ইসলাম সম্পর্কে তার তেমন জ্ঞান নেই। তাহলে এমন অজ্ঞ মানুষ কিভাবে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামদের ধর্মব্যবসায়ী বলে আখ্যায়িত করতে পারে তা বিবেকবান মানুষের বোধগম্য নয়। অন্যদিকে তার সাথে থাকা আরেক বিতর্কিত ও গণধিকৃত মুখ ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। যিনি প্রশ্নবিদ্ধ আওয়ামী ট্রাইব্যুনালের পিপি ছিলেন এবং পিপি থাকা অবস্থায় অনৈতিক কাজে জড়িত থাকা প্রমাণ হওয়ার পর বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তিনি যুদ্ধাপরাধী হিসেবে একজনকে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছিলেন। এরপরই তাঁকে আওয়ামী লীগের বানানো যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তার মা নিজের মেয়ে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে সম্পত্তি দখল, মা’কে ঘর থেকে বের করে দেওয়া, হুমকি ধামকি, অনৈতিক কর্মকান্ড ও বাসায় গোপনে বহু পুরুষ সমাগমের অভিযোগ করে বিচার চেয়েছিলেন। যার কারণে সম্মানিত আলমদের বিরুদ্ধে এমন চিহ্নিত দূর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, নীতিহীনদের ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্যে ভরপুর শ্বেতপত্র জাতি ঘৃণার সাথে প্রত্যাখান করেছে।

এ নিকৃষ্ট অপকর্মের পেছনে দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্র রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পিতভাবে এ জঘন্য কাজ করা হয়েছে বিশেষ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। কিন্তু জনগণ সজাগ ও সচেতন। এদেশের আলেম ওলামারা সর্বজন শ্রদ্ধেয়। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সাথে নিয়ে তারা দেশ ও ইসলামের কল্যাণে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সুতরাং নীতি ও ভারসাম্যহীনদের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তৈরি এসব ষড়যন্ত্রমূলক শ্বেতপত্রের কোন মূল্য নেই জনগণের কাছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আলেম সমাজ একা নয়। দেশ ও ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতা তাদের পাশে আছে। আমরা অবিলম্বে এ শ্বেতপত্র প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য মানিক-তুরিনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য তাদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আলেম সমাজের এমন অবমাননা এদেশের আপামর ছাত্রজনতা মেনে নিবে না। সরকার এসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ছাত্রসমাজ আলেম সমাজের পাশে থেকে দেশ ও ইসলাম বিরোধী এসব কিটদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। ইনশাআল্লাহ।