সোমবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান আজাদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাতসহ ১০ জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক,গণতান্ত্রিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলামী বর্তমান সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আজ ৬ সেপ্টেম্বর কোন কারণ ছাড়াই নিয়মিত দলীয় বৈঠক থেকে অন্যায়ভাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দেউলিয়াত্বের নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করলো অবৈধ আওয়ামী সরকার। এর আগেও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রেখেছিল আওয়ামী সরকার। লজ্জাজনক পরিণতির ভয়ে ভীত জনসমর্থনহীন সরকার অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কোন কারণ ছাড়াই যখন তখন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে আসছে। দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে গণবিচ্ছিন্ন সরকার নিজেদের দেউলিয়াত্বেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গণধিকৃত অবৈধ সরকারের মনে রাখা উচিৎ গ্রেফতারকৃতরা জনপ্রিয় নেতা ও তাদের মধ্যে সাবেক এমপিও রয়েছেন। বার বার তাদেরকে গ্রেফতারের পরও এদেশের তৌহিদী জনতা ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু নিরপরাধ জনপ্রিয় নেতাদের উপর এমন অবিচার অব্যাহত থাকলে জনগনের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাবে। অবিলম্বে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জনাব হামিদুর রহমান আজাদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাতসহ গ্রেফতারকৃত ১০ জন নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।