রবিবার, ১৫ আগস্ট ২০২১

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী এবনে গোলাম সামাদের ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের গভীর শোক প্রকাশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, কলামিস্ট, বুদ্ধিজীবী এবনে গোলাম সামাদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ শোকবার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, এবনে গোলাম সামাদের ইন্তেকালে জাতি একজন প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী, বরেণ্য শিক্ষক ও অভিভাবককে হারাল। তার শূন্যস্থান অপূরণীয়।

শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে মরহুমের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী ও আত্মীয়স্বজনকে ধৈর্য ধরার শক্তি দান করার জন্য দোয়া করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এবনে গোলাম সামাদ দেশের প্রবীণতম বুদ্ধিজীবী, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ছিলেন। নীরবে-নিভৃতে দেশ ও দশের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন। কোনো প্রাপ্তির প্রত্যাশা কোন দিন করেননি। এবনে গোলাম সামাদ ছিলেন নিখাদ ত্যাগী দেশপ্রেমিক। তিনি নিজের জীবনের সফলতা নিয়ে যত না ভাবনাচিন্ত করেছেন, তার চেয়ে বেশি ভাবেতেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এবনে গোলাম সামাদের ইসলামের প্রতি ছিল প্রবল অনুরাগ। তিনি তার লেখনি দ্বারা প্রমাণ করেছেন ইসলাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এ দেশের জাতিসত্ত্বায়, এদেশের সংস্কৃতিতে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও বর্ষীয়ান এ শিক্ষাবিদ কয়েকমাস যাবত গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। হার্টের সমস্যা নিয়ে তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তিতে তিনি করোনাক্রান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু সেখানে নিতান্ত অবহেলা এবং উদাসীনতার শিকার হন তিনি। এ বরেণ্য ব্যক্তিকে হাসপাতালের বারান্দায় রেখে চিকিৎসা করা হয়। এটি জাতির জন্য লজ্জা। ১১ জন সাবেক প্রো-ভিসি সহ বিশিষ্ট নাগরিকরা তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে এভাবে অবমূল্যায়ন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

উল্লেখ্য মরহুম এবনে গোলাম সামাদ আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি রাজশাহীতে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।