মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১

ঢাবি’তে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

ঢাবি’তে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো সন্ত্রাসের ঘৃণ্য নজীর স্থাপন করেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। আজ দুপুর ১২টায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছাত্রদল কর্তৃক টিএসসিতে অসহায়দের মাঝে খাবার ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করার কর্মসূচি চলাকালে বিনা উস্কানীতে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এই বর্বর হামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ ছাত্রদলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। কিন্তু সুযোগ থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ প্রশাসন কেউই তাদের রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। খাবার ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণের মত একটি মানবিক প্রোগ্রামেও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিজেদের বর্বর ও বিকৃত রুপটি আরেকবার জাতির সামনে উন্মোচন করেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগ সন্ত্রাস, বর্বরতা আর অসভ্যতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে। এর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র খুন এবং সম্মানিত শিক্ষকদের মারধর ও লাঞ্চিত করেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। ক্যাম্পাসগুলোকে অবৈধ অস্ত্রের মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছে। ক্যাম্পাসগুলোতে তারা প্রতিদিনই টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভর্তি বাণিজ্য, ইভটিজিং ও র‌্যাগিংসহ নানাবিধ অপকর্ম করে যাচ্ছে। অথচ আজ পর্যন্ত তাদের কোন অপরাধেরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মদদ যুগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন নিজেদের বিবেক ও দায়িত্ববোধ ছাত্রলীগের কাছে জিম্মি করে রাখলেও ছাত্রসমাজ তাদের জান-মাল সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি দেখতে প্রস্তুত নয়। দেশের শীর্ষ ছাত্র নেতৃবৃন্দের উপর অব্যাহত সন্ত্রাসী হামলা ও নির্যাতন ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। অবিলম্বে চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আবারো বিচারহীনতার মাধ্যমে ছাত্রদের জীবন বিপন্নের ধারা অব্যাহত রাখলে সারাদেশে ছাত্রসমাজ দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আর তখন যে কোন পরিস্থিতির জন্য দায়িত্বহীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকেই দায়ী থাকতে হবে।