বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১

আল আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলা ও নৃশংসতা চালিয়ে অব্যাহত হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

অবিলম্বে ইসরাইলের বর্বরতা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে-ছাত্রশিবির

মুসলমানদের প্রথম কিবলা, পবিত্র আল আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর ইহুদীবাদী ইসরাইল বর্বর হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি নারী শিশুসহ নিরপরাধ মুসলমানদের অব্যাহত হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, মানবতার দোহাই দিয়ে সম্রাজ্যবাদী অপশক্তির সহযোগিতায় অবৈধভাবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের সাথে বর্বর ও নৃশংস আচরণ করে আসছে আল্লাহর লানতপ্রাপ্ত ইহুদিরা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এ বর্বরতা বন্ধ না করে উল্টো ইসরাইলকেই সমর্থন করে যাচ্ছে। যা ইসরাইলের বর্বরতাকে আরও উস্কে দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে মুসলমানদের অতি পবিত্রতম স্থান বায়তুল আকসা মসজিদে নামাজ পড়ার সময় মুসল্লিদের উপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনারা। এরপর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৫৬ জনের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে নারী ও ১৪ শিশুও রয়েছে। এখনো সেই হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চলছে এবং আরো ভয়ঙ্কর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসা মসজিদ নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে ইসরাইল। কিন্তু বিশ্ববাসী এখন পর্যন্ত ইসরাইলের বর্বর কর্মকান্ড থামাতে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বরং চুপ থেকে তাদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশমূলক মানবাধিকারের বুলি আওড়াচ্ছে। যা মানবতার জন্য চরম লজ্জাজনক বিষয়। অবৈধ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল মূলত আল আকসা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, যা কখনো সফল হবে না।

নেতৃবৃন্দ বিশ্ববাসী ও মুসলাম উম্মাহর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের ধারাবাহিক নৃসংশতায় নিরব থাকা তাদের বর্বরতার প্রতি সরাসরি উৎসাহ দেয়ার শামিল। বিশ্ববিবেক বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহর জন্য এটা বড় লজ্জার বিষয়। প্রথম কিবলা আল আকসায় নামাজরত মুসলমানদের উপর নির্বিচারে হামলা ও মসজিদের প্রাঙ্গন মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত হওয়ার পরও হাত গুটিয়ে বসে থাকা ঈমানের পরিপন্থি কাজ। বিশ্বের মানবাধিকারের ছবক দাতারা মুসলিম বিশ্বের বাইরে অন্য কোথাও সামান্য কিছু ঘটলেই গলা ফাটিয়ে তোলপাড় শুরু করেন। কিন্তু যুগের পর যুগ ফিলিস্তিনে বর্বরতা নৃশংসতা চললেও এসব মানবতাবাদীরা শুধু নিরবই থাকেনি বরং ঘুরিয়ে পেচিয়ে ইহুদিবাদীদের সমর্থন ও সহাযোগিতা করেছে। সুতরাং আর অন্য কারো দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। মুসলমানদের পবিত্র স্থান, ভূমি ও উম্মাহকে রক্ষা করতে মুসলমানদেরকেই দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখনো মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দ হাত গুটিয়ে বসে থাকা মানে প্রথম কিবলার প্রহরী মুসলিমদের হত্যার মদদ দেওয়া। মুসলিম দেশের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বায়তুল আকসা ও ফিলিস্তিন মুক্ত করার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে এটা সমস্ত মুসলিম উম্মাহর ব্যকুল প্রত্যাশা।

ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, বায়তুল আকসার প্রহরী ফিলিস্তিনের বীর জনগণের প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে। আপনাদের রক্ত বৃথা যাবে না। প্রথম কিবলা ও মাতৃভূমির পবিত্রতা রক্ষায় ইহুদীবাদিদের বর্বরতায় শাহাদাৎ বরণকারীদের পবিত্র রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এই বর্বরতা অবৈধ ইসরাইলের পতনকে তরান্বিত করবে ইনশাআল্লাহ।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ইসরাইলি বর্বরতা থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানান।