শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের নৃশংস হামলা, ছাত্রসহ ৭ জনকে হত্যা ও অসংখ্য মুসল্লিকে মারাত্মক আহত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সুপরিকল্পিতভাবে নিরীহ মুসল্লিদের উপর যৌথভাবে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা ও হত্যাকান্ড চালিয়েছে-ছাত্রশিবির

স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের নৃশংস হামলা, ছাত্রসহ ৭ জনকে হত্যা ও অসংখ্য মুসল্লিকে মারাত্মকভাবে আহত করার হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের সেবাদাস পুলিশের বর্বরতা ও নৃশংসতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে নিরীহ মুসল্লিদের উপর পুলিশ যে বর্বরতা চালিয়েছে তাতে দেশবাসী স্তম্ভিত ও প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। যে কোন ইস্যুতে কথা বলা, মিছিল সমাবেশ করা প্রতিটি নাগরিক, দল ও সংগঠনের সাংবিধানিক অধিকার। রাজধানীতে বায়তুল মোকারম মসজিদে মুসল্লিরা তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন কালে পুলিশ হিংস্র হায়েনা হিসেবে খ্যাত সশস্ত্র ছাত্রলীগ-যুবলীগ-টোকাইদের নিয়ে নিরস্ত্র নিরীহ মুসল্লিদের উপর হামলা চালিয়েছে। নেশাখোর, অপরাধি, মাদকাসক্তদের নিয়ে পবিত্র বায়তুল মোকারম মসজিদের ভেতরে জুতা পায়ে প্রবেশ করে মুসল্লিদের উপর গুলি-গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে ২জন নিহত ও অসংখ্য মুসল্লি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীতে মুসল্লিদের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে ৩ ছাত্রসহ ৪ জনকে হত্যা করেছে। একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনকে হত্যা করা হয়েছে। এ বর্বরতায় আহত হয়েছে আরো অসখ্য মুসল্লি, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কজনক। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সন্ত্রাসীদের নিয়ে নিরীহ মুসল্লিদের উপর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পুলিশ বর্বরতা ও নির্মমতার যে পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এর আগেও পুলিশ এমন বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এ বর্বরতা কোন পুলিশের কাজ হতে পারে না বরং তা ঘাতকের কাজ। প্রতিটি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যরা জনগণের কাছে চিহ্নিত হয়ে আছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী মাদকাসক্তদের নিয়ে হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানো কোন সভ্য ও দায়িত্বশীল বাহিনীর কাজ হতে পারে না। দলকানা দায়িত্বহীন পুলিশের এমন নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ বরাবরই সন্ত্রাসী ও ইসলাম বিরোধীদের উৎসাহিত করেছে। একই সাথে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যরা নিজেদের দেশ ও ইসলাম বিদ্বেষী বিকৃত রূপটিও প্রকাশ করেছে। এই হামলা ও হত্যাযজ্ঞ প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। অবিলম্বে এই পরিকল্পিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ইসলাম বিদ্ধেষী সরকার ও তার সেবাদাস পুলিশের জানা উচিৎ, দেশ ও ইসলামের উপর যেকোন আঘাত প্রয়োজনে জীবন দিয়ে মোকাবেলা করতে এদেশের আপামর ছাত্রজনতা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সরকারের দায়িত্বহীন ভূমিকায় কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার ইসলাম বিদ্বেষী সরকার ও তাদের সেবাদাস পুলিশকে গ্রহণ করতে হবে।