বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১

যুব অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা, গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে যুব অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা, গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের মত পুলিশও জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমন ও গ্রেপ্তার করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে যুব অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে বিনা উস্কানীতে পুলিশ পেছন থেকে হামলা ও গুলি চালিয়েছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ প্রায় ৩০জনকে। অনেককে গ্রেপ্তারের পর রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে পুলিশ। মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গালাগাল দিয়ে টেনে হিচড়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও তাকে পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।

দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করা প্রতিটি নাগরিক, দল, সংগঠনের আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু দলীয় গোলামী করতে গিয়ে পুলিশ আইনের পোশাক পড়ে বেআইনিভাবে জনগণের অধিকার হরণ করছে। পুলিশের এমন নীতিহীন ভূমিকার কারণে জনগণ তাদের ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের মতই গণ্য করে। একটি দলের সেবাদাসমূলক ভূমিকা পালন করতে গিয়ে পুলিশ বরাবরই জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। দেশবাসী মনে করে, পুলিশের পোশাকে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকা পালন করছে পুলিশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের জনগণ, জনমতে বিপক্ষে যারা অবস্থান নেয় জাতি তাদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করে। তারা জাতির কাছে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়। যেটা হয়েছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে। যা একটি জাতির জন্য চরম লজ্জাজনক বিষয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশের মানুষের আইনগত সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করার অধিকার পুলিশ বা কারো নেই। পুলিশকে দলীয় বাহিনীর ভূমিকা থেকে সরে আসতে হবে। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকলকে মুক্তি দিতে হবে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশবাসী ও ছাত্রসমাজের দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদির সফর বাতিল করতে হবে।