মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোদির আগমন বিরোধী কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো সন্ত্রাসের ঘৃণ্য নজির স্থাপন করেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছে। এই বর্বর হামলায় ২ সাংবাদিকসহ ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। যেখানে সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষ্যে দেশের মানুষ ও ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ, সেখানে পুরো ছাত্রসমাজের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। তারা শুধু বিপরীতে অবস্থান নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি বরং শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বার বার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আবারো প্রমাণ হয়, ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রসমাজের কোন সম্পর্ক নেই বরং এরা অবৈধ সরকারের লেজুরবৃত্তিকেই নিজেদের একমাত্র কর্মসূচি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অন্যদিকে বরাবরের মত প্রশাসন ও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের প্রতি প্রশাসন ও পুলিশের নিরবতা এবং মদদ প্রমাণ করে ছাত্রলীগ সরকারের ইশারায় পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালাচ্ছে। মূলত ছাত্রলীগের ইতিহাস সন্ত্রাসের ইতিহাস। লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করতে গিয়ে বরাবরই ছাত্রলীগ ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে ছাত্রসমাজ মাথা নত করবে না। শিক্ষার্থীদের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত থাকলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রেখে বলতে চাই, অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশবাসী ও ছাত্রসমাজের দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদির সফর বাতিল করতে হবে।