বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

গভীর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গভীর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর শ্রমিক লীগের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর এই বর্বর হামলার ঘটনায় ছাত্রসমাজ বাকরুদ্ধ ও প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে নগরীর রূপাতলীতে এক শিক্ষার্থীর মেসে হামলা করে কয়েকজন শ্রমিক লীগ নেতাকর্মী। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে এগিয়ে যান পাশের বিভিন্ন মেসের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে আগত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে নগরের রূপাতলী হাউজিং এলাকার কয়েকটি সড়কে শিক্ষার্থীদের মেসে এসব হামলা হয়। এই নৃশংস হামলায় প্রায় ১৭জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত ও ছাত্রীকে লঞ্ছিত করে বাস শ্রমিকরা। ছাত্রকে ছুরিকাঘাত, ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার পর গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে ১ ঘন্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানো হলেও শিক্ষার্থীদের রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এর আগেও রাজধানীসহ সারাদেশে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও লাঞ্ছিত করেছে সরকারের মদদপুষ্ট পরিবহন শ্রমিকরা। যার কোন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আজ পর্যন্ত হয়নি। আগামীর দেশ গড়ার কারিগর শিক্ষার্থীদের উপর এমন বর্বরতা চালানোর সাহস কোথা থেকে পায় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রসমাজ তা জানতে চায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শুধু বরিশাল নয় বরং দেশের কোথাও শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে না। নানা সময়ে দলবাজ পুলিশের হয়রানী, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী ও পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই, শিক্ষার্থীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় আগামীর কাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়ার জন্য, সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হওয়ার জন্য নয়। শিক্ষার্থীরা তাদের জান-মাল সন্ত্রাসী বা দায়িত্বহীনদের কাছে লিজ দিয়ে দেয়নি। অবিলম্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। তখন যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের দায় বহন করতে হবে।