সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

মেহেরপুরে অন্যায়ভাবে ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও পুলিশের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

মেহেরপুরে শান্তিপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক থেকে অন্যায়ভাবে ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, তাদের জড়িয়ে পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বহীন ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ।

এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নয় বরং নিরাপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার ও কল্পকাহিনী রটনা করে বিরোধী মতের ছাত্রদের জীবন ধ্বংস করাকেই পুলিশ তাদের প্রধান কাজ হিসেবে গ্রহণ করেছে। গত পরশু মেহেরপুরে সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালে কোন কারণ ছাড়াই ১৮ জন শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই অন্যায় ও দায়িত্বহীন গ্রেপ্তারকে আড়াল করতে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি তাদের মুখস্থবুলি আওড়িয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন 'নাশকতার পরিকল্পনা কালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে', যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বহীন মনোভাবের বিকৃত আবিস্কার। তিনি পুলিশের পোষাক পড়ে থাকলেও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে আপত্তিকর ও রাজনৈতিক কায়দায় বক্তব্য দিয়েছেন যেখানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের ভারসাম্যহীন নেতাদের বক্তব্যের হুবহু প্রতিফলন হয়েছে। কোন সাক্ষ্য প্রমাণ বা তদন্তের আগেই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নানা আপত্তিকর বিষয়ে নিরাপরাধ ছাত্রদের জড়িয়ে নিকৃষ্ট মিথ্যাচার করেছেন। যা পুলিশের ঘৃন্য কর্মের আরেকটি নিকৃষ্ট উদাহরণ। আইনের লেবাসে পুলিশ কর্মকর্তার এই ঘৃণ্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করার ভাষা আমাদের জানা নেই। এই ভারসাম্যহীন মিথ্যাচার ও বিদ্বেষমূলক ভূমিকায় প্রমাণ হয় একটি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের পথ করে দিতেই শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেপরোয়া ছাত্রলীগসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রতিদিনই তাদের খুন, ধর্ষণ, হামলা, নির্যাতন, মাদক, সন্ত্রাস ও লোমহর্ষক ঘটনার খবর দেশবাসীকে দেখতে হচ্ছে। কিন্তু তার মত পুলিশ কর্মকর্তারা চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো তাদের প্রশ্রয় দিয়ে সহযোগির ভূমিকা পালন করছে আর নিরাপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর পেশাককেই বার বার প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যার আরেকটি লজ্জাজনক নজির মেহেরপুরের এই অন্যায় গ্রেপ্তার ও মিথ্যাচার। জনগণের প্রতি পুলিশের ওয়াদা বা নিজ দায়িত্বের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ ও দেশপ্রেম থাকলে পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার ও তাদের জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করতে পারতো না। কিছু পুলিশ কর্মকর্তার নীতিহীন কর্মকান্ডের কারণে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।