বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুলের গ্রামের বাড়িতে উদ্দেশ্যমূলক তল্লাশীর নামে পুলিশি হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুলের গ্রামের বাড়িতে তল্লাশীর নামে পুলিশি হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাউদ্দিন আইউবী বলেন, করোনায় আপন ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাহত জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুল ও তাঁর পরিবারকে হয়রানির মাধ্যমে পুলিশ ও প্রশাসন যে অমানবিক জঘন্য দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুলের ছোট ভাই মোঃ শরিফুল ইসলাম গতকাল ১৭ নভেম্বর সকাল ১০:৪৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি বেশ কিছু দিন যাবৎ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত ভাইয়ের জানাজা ও দাফন কাফনের জন্য সকল আত্মীয় স্বজন তার গ্রামের বাড়িতে আসেন। এলাকার সাধারণ মুসল্লীগণ রাতে মরহুমের জানাজায় উপস্থিত হওয়ার লক্ষ্যে তাদের বাড়িতে উপস্থিত হতে থাকেন। এমতাবস্থায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ সেখানে গভীর রাতে অভিযানের নামে তল্লাশী পরিচালনা করে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় মাত্র ৫০ জনের বেশি লোক সমবেত হতে পারবেন না। যার কারণে বিপুল সংখ্যক মুসল্লী জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। পুলিশ স্বল্প পরিসরে জানাজার নামাজ আদায় করতে বাধ্য করে। এমনকি জানাজার পর নুরুল ইসলাম বুলবুলকে তাঁর শোকাহত পরিবারের সাথে মিলিত হয়ে শোক প্রকাশের সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি। রাত ১টার দিকে পুলিশ তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করে তাঁর অসুস্থ বৃদ্ধা মা ও আত্মীয়-স্বজনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে। নুরুল ইসলাম বুলবুলকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ বাড়ির প্রত্যেকটি জায়গায় তল্লাশী চালায়। পুলিশের এমন ঘৃন্য আচরণে এলাকাবাসী হতবাক ও ক্ষুব্ধ। একইসাথে এ ঘটনা পুলিশের দায়িত্বহীনতার একটি লজ্জাজনক দলিল। একটি শোকাহত পরিবারকে এভাবে হয়রানি করা এবং তাদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের বর্বর আচরণের নিন্দা জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুলের বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশী তল্লাশী কোন বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারেনা। জানাজা পূর্ব সময়ে ৯৫% মুসলমানের বাংলাদেশে এধরনের আচরণ মেনে নেয়া যায় না। অন্যদিকে শোকাহত একটি পরিবারের প্রতিও এ ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা সত্যিই ন্যাক্কারজনক। বাড়িতে তল্লাশীর নামে পরিবারের সদস্যদের হয়রানী আইন ও মানবাধিকারের চরম লংঘন।