শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

আরটিভি, সময় টিভিসহ কিছু গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি, সময় টিভিসহ কিছু গণমাধ্যমে ‘ছাত্রলীগ নেতার রগ কাটল শিবির!’ উল্লেখ করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পরিকল্পিত একপেশে অপপ্রচার করে আবারো দায়িত্বহীনতার নজির সৃষ্টি করল আরটিভি, সময় টিভি, বাংলা ট্রিবিউনসহ কিছু গণমাধ্যম। প্রতিবেদনগুলোতে কোন প্রকার যাচাই বাছাই বা তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনাকে আড়াল করতে এবং এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ছাত্রলীগ নেতাদের পরিকল্পিত মিথ্যাচারকে হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে। সুকৌশলে এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়ানো হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। বরং আসল ঘটনা হলো, কক্সবাজার সরকারি কলেজের খেলার মাঠ ভরাটের দায়িত্ব নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এসময় ছাত্রলীগের জাকের গ্রুপ দুই রাউন্ড গুলিও ছুড়ে। এতে সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত গ্রুপের অনুসারিরা পালিয়ে গেলে জাকির গ্রুপের সন্ত্রাসীরা সাখাওয়াতের উপর রড, ক্রিচ, রামদা নিয়ে হামলা করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। যা ইতিমধ্যে সংঘর্ষের ছবিসহ জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। ইতিপূর্বে টেন্ডার বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে জাকের ও সাখাওয়াত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং সেসময় আব্দুল্লাহ ও শফিক নামে দুইজন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়। এ হামলা মূলত কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরের অংশ। এসব তথ্য আরটিভি বা সময় টিভি’র স্থানীয় প্রতিনিধির অজানা থাকার কথা নয়। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অংশ হিসেবে তারা এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন রচনা করেছে। কতটুকু দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে এমন ঘৃণ্য অপপ্রচার করা যায় তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগ ও তাদের সহযোগীদের কোন অপকর্ম যখন দেশবাসীর কাছে প্রকাশ পায় তখনই এ ধরনের গণমাধ্যমগুলো সে অপকর্মকে আড়াল করতে উঠে পড়ে লেগে যায়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক বর্বরতার জন্য এসব গণমাধ্যমের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণও অনেকাংশে দায়ী। এমন দায়িত্বহীন কর্মকান্ড কোনভাবেই সুস্থ সাংবাদিকতার পরিচায়ক নয়। একটি অন্যায় কাজকে আড়াল করা মানে আরেকটি অন্যায়কে উৎসাহিত করা। দুর্ভাগ্যবশত সময় টিভি ও আরটিভি’র মত কিছু গণমাধ্যমের নিকট হতে এমন দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা দেখতে হচ্ছে জাতিকে। যা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রত্যাহার, যথাসময়ে আমাদের প্রতিবাদটি প্রচার এবং এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।