শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অন্যায়ভাবে ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং 'অস্ত্র উদ্ধার' নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে অন্যায়ভাবে ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং তাদের জড়িয়ে পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, কোন কারণ ছাড়াই যখন তখন শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নাটক সাজানো পুলিশের কুঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ছাত্রাবাস থেকে কোন কারণ ছাড়াই শিবিরের কর্মীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সাথে এ অন্যায় গ্রেপ্তারকে আড়াল করতে পুলিশ তাদের মুখস্তবুলি 'অস্ত্র ও জিহাদী বই উদ্ধারের ঘটনা' সাজিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ ছাত্রদের যেমন গ্রেপ্তার করেছে তেমনি তারা পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক মঞ্চায়ন করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মূলত নিজ দায়িত্ব কর্তব্য ও শপথকে জলাঞ্জলি দিয়ে পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। পুলিশের এই দায়িত্বহীন অমানবিক ঘৃণ্য অপকর্মের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং মেধাবী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য পুলিশ এহেন ঘটনার অবতারণা করেছে। এসব অস্ত্র উদ্ধার নাটকের সাথে পুলিশের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলেও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। নিরীহ ছাত্রদের অন্যায়ভাবে আটকের পর এমন নিকৃষ্ট নাটক সু-গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে সচেতন দেশবাসী মনে করে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শত ধিক্কারের পরও পুলিশ বারবার এমন নিকৃষ্ট কাজ করেই যাচ্ছে। ইতোপূর্বে বহুবার পুলিশ নিরাপরাধ শিবির-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে 'অস্ত্র উদ্ধার ও জিহাদি বইয়ের' নাটক সাজিয়েছে। যা সময়ের ব্যবধানে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে এবং মিথ্যাচারের জন্য পুলিশ জনগণের ধিক্কার কুড়িয়েছে। নিজ পেশা, জনগণের প্রতি ওয়াদা ও দেশের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাবোধ থাকলেও পুলিশ এমন দায়িত্বহীন কাজ করতে পারত না। পুলিশের এই ধারাবাহিক অমানবিক দায়িত্বহীনতায় হুমকির মুখে আজ হাজারো ছাত্রের জীবন। যা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসলামী ছাত্রশিবির আদর্শবাদী সংগঠন। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পথচলায় বিশ্বাসী। এসব অস্ত্র নাটকের সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। বরং সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পুলিশ বারবার এমন ঘৃণ্য ঘটনার অবতারণা করেছে। পুলিশের এই প্রতিহিংসাপূর্ণ তামাশায় বহু মেধাবী ছাত্রের শিক্ষাজীবন আজ ধ্বংসের মুখে। আমরা অবিলম্বে এই বেআইনি কর্মকান্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে অন্যায় গ্রেপ্তার ও সাজানো নাটক থেকে বিরত থাকতে এবং গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।