শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯

বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা তদারকির জন্য মনিটরিং সেল গঠন

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসা জরুরি-শিবির সভাপতি

দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ এবং সেই সাথে সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন। আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কার্যকরি পরিষদের দ্বিতীয় সাধারণ অধিবেশনে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা তদারকির জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্বকালে শিবির সভাপতি বলেন, ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গিয়েছে। মাছচাষিরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছে। ত্রাণের জন্য হাহাকার উঠেছে। দিন দিন অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সহায়তায় তেমন কোন কার্যকরি উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি।

বন্যাদুর্গত জনগণের বিশাল একটি অংশ মানবেতর জীবন যাপন করলেও সরকারের তরফ থেকে কোন ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না। সমাজের বিত্তবানরাও সেভাবে এগিয়ে আসছে না। এমন দায়িত্বহীনতা অব্যাহত থাকলে বন্যা কবলিত এলাকায় অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সামর্থ থাকার পরও বিপুলসংখ্যক বিপদগ্রস্ত মানুষকে এড়িয়ে যাওয়া কোন ভাবেই প্রত্যাশিত নয়। বন্যার্তদের কষ্ট লাঘবে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন জরুরি।

নেতাকর্মীদের প্রতি বন্যার্তদের সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দিয়ে শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কোন ব্যক্তি বা দলের খুশির জন্য নয় বরং সামাজিক দায়বদ্ধতা আদায়ের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য ছাত্রশিবির জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মীকে যার যার অবস্থানে থেকে বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। সহায়তা কার্যক্রমে ছাত্রজনতাকে সংযুক্ত করতে হবে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার্তদের সহায়তায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছে। এ কাজের গতি আরও তীব্র করতে হবে। আমরা বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য সরকার, বিত্তবান ও ছাত্রসমাজকে আহবান জানাচ্ছি।

বৈঠকে সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ সিরাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও সমাজসেবা সম্পাদক ডাঃ সালমান ফারসিকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়। এছাড়া ত্রাণ তৎপরতা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে স্বেচ্ছাসেবক টিম ও দুর্গত এলাকায় জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে একাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।