সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯

মীর জাফরের প্রেতাত্মারাই জাতি-বিভেদকে প্রকট করে তুলেছে-শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন বলেন, জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার কলঙ্কিত অধ্যায় পলাশীর ঘটনার প্রায় তিন শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও মীর জাফরদের প্রেতাত্মারা বিলীন হয়ে যায়নি। তারা আবার জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং জাতির বিভেদকে প্রকট করে তুলেছে। তাই দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে বিশ্বাসঘাতকদের রুখতে হবে।

তিনি আজ দিনাজপুরের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির দিনাজপুর শহর শাখা আয়োজিত ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, রাষ্ট্র আজ মীর জাফরী ঘাতকতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। জাতি এমন এক সময়ে পলাশী দিবস পালন করছে যখন মীরজাফর-ঘষেটি বেগমের কালো ছায়া জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতাকে পায়ে দলে অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে আছে। বহু আন্দোলন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। তারা জনগণকে গোলাম বানাতে চায়।

আর এদেশকে বানাতে চায় আধিপত্যবাদের কলোনি। বিনা ভোটের অদ্ভুত এক সরকার গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। রাষ্ট্রীয় শক্তিকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে জনগণের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে তারা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে জাতি-বিভেদ প্রকট করে তুলছে। দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে একের পর এক নতজানু নীতি গ্রহণ করছে। দেশ বা জনগণ নয় ক্ষমতার লোভই তাদের কাছে বড়। এ যেন জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতক মীর জাফরদের অপকর্মেরই প্রতিচ্ছবি।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস পলাশীর প্রান্তরে থেমে যায়নি। সিরাজউদ্দৌলার উত্তরসূরী হিসেবে নির্যাতিত নিপীড়িত জনতা সময়ের ব্যবধানে জেগে উঠেছিল। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তুলেছিল। ক্ষমতালোভী অপশক্তিকে বিতাড়িত করেছিল। সুতরাং আজকের দখলবাজরাও চিরস্থায়ী নয়। পলাশীর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বাসঘাতক অপশক্তিদের রুখে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে গেলে তারাও মুক্তিকামী জনতার রোষানলে পরে পরাজিত হতে বাধ্য হবে। বিশ্বাসঘাতকদের মত ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে তারা, আর বিজয় হবে জনতার।