মঙ্গলবার, ০৬ নভেম্বর ২০১৮

সাতক্ষীরায় সাবেক শিবিরনেতাদের গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

অন্যায়ভাবে ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা জেলা সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন ও পৌর পশ্চিম থানা সভাপতি নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তারের পর বেআইনিভাবে আদালতে হাজির না করে দুই দিন যাবত নির্যাতন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে অস্ত্র মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

যৌথ বার্তায় বলেন, সরকার অর্থবহ নির্বাচনের কথা বলে সংলাপ করছে এবং বলেছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপরে হয়রানী মামলা হবে না। কিন্তু বাস্তবে তা উল্টো চিত্র দেখছে জনগণ। তারা বিরোধী মতের উপর মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, অস্ত্র নাটক ও বিভিন্ন অফিসে অভিযান চালিয়ে ভাংচুর অব্যাহত রেখেছে। মূলত ক্ষমতাসীন ফ্যাসিবাদী সরকারের ভোটার বিহীন একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে সাতক্ষিরায় নিরপরাধ নেতাদেও অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন ও মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়েছে পুলিশ। যা পুলিশের দায়িত্বহীনতার আরেকটি ঘৃন্য নজির।

গত ৪ নভেম্বর সন্ধা সাড়ে ৭টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনাবদ নামক স্থানে আরিফুলের চায়ের দোকান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে সাদা পোষাকধারী পুলিশ। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির না করে তাদের উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। গ্রেপ্তারের কথাও অস্বীকার করা হয়। আজকে ৬ নভেম্বর তাদেরকে মিথ্যা অস্ত্র মামলা জড়িয়ে আদালতে হাজির করে। এসময় তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকাও আদায় করে পুলিশ। তারা নিরপরাধ ও অস্ত্র নাটকের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।

কিন্তু পুলিশ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তাদেরকে অস্ত্র মামলায় জড়িয়েছে। পুলিশের এই দায়িত্বহীন কর্মকান্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। রাজনৈতিক ভাবে ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সরকারের ইশারায় ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করেছে পুলিশ। এর আগেও সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সারাদেশে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে কিছু দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে শিবির কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশের প্রতি জনগণের কোন আস্থা নেই। মানুষ এসব সাজানো নাটক বিশ্বাস করে না। আমরা পুলিশের এই জঘন্য অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশের এসব নাটক বরাবরই মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে এবং মিথ্যাচারের জন্য পুলিশ জনগণের ধিক্কার কুড়িয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো অস্ত্র উদ্ধার নাটক মঞ্চায়নের অনৈতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। আমরা অবিলম্বে এই সাজানো মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতৃবৃন্দের নি:শর্ত মুক্তি দাবী করছি। একই সাথে এমন ঘৃন্য কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।