সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

দৈনিক যুগান্তরে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দৈনিক যুগান্তরে ‘প্রশিক্ষিত ৩৩ শিবিরের খোঁজে গোয়েন্দারা’ উল্লেখ করে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার এক যৌথ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন এ নিন্দা জানান।

কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, সাংবাদিকতার লেবাসে ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে ধারাবাহিক অপপ্রচারের মাধ্যমে নীতিহীন সাংবাদিকার ঘৃন্য নজির স্থাপন করে চলেছে যুগান্তর। অবৈধ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বার বার সাংবাদিকতার পবিত্র পেশার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে তারা।

বানোয়াট প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা করতে ঢাকায় গোপন বৈঠক, ক্যাডার বাহীনিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এবং ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যুগান্তর কতৃপক্ষের প্রতিবেনটি শুধু মিথ্যা ও বানোয়াটই নয় বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন এবং বিদ্ধেষমূলক।

কতটুকু নিচু মানের মানষিকতার অধিকারী হলে ছাত্রশিবিরের মত নিয়মতান্ত্রিক একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ ধরণের মানষিকতা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করারই নামান্তর। যুগান্তর কর্তৃপক্ষ ও প্রতিবেদকের নূন্যতম ভদ্রতা ও শালিনতাবোধ থাকলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এমন মিথ্যাচার ও কুরুচীপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করতে পারত না।

অন্যান্যদের মত আসন্ন নির্বাচনে ছাত্রশিবিরও নিয়মতান্ত্রিক ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন নিয়ে গোপন বৈঠক, নাশকতা, প্রশিক্ষণ, এসব অমূলক ও ভারসাম্যহীন প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়। সম্প্রতি ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে একাধিক ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুগান্তর। সবগুলো প্রতিবেদনই ছিল উদ্ভট, অবাস্তব, কাল্পনিক ও বায়বীয় উপাদানে তৈরী। বুঝা যাচ্ছে ছাত্রশিবিরের প্রশ্নে যুগান্তর নীতি নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধকে বিসর্জন দিয়ে মাঠে নেমেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ছাত্রশিবিরের নাশকতা বা বেআইনি কোন কর্মকান্ডের পরিকল্পনা নেই। বরং নির্বাচন নিয়ে অবৈধ সরকারের ফ্যাসিবাদী এজেন্ডা রয়েছে যা বাস্তবায়নে নেমেছে একটি বিশেষ দলের প্রতি অনুগত এই গণমাধ্যমটি। আমরা বলব, এমন ভারসাম্যহীন প্রলাপ জনগণ বিশ্বাস করে না। তার বড় প্রমাণ অনলাইন ভার্সনের ফেসবুক কমেন্টে বেশির ভাগ মানুষই এই বানোয়াট নিউজটিকে ঘৃনার সাথে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং যুগান্তর কর্তৃপক্ষকে ধিক্কার জানিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদপত্র মিথ্যাচার ও ভারসাম্যহীন প্রলাপের জায়গা নয়। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা ও জাতির বিবেক সমতুল্য। কিন্তু যুগান্তরের মত কিছু গণমাধ্যমের বার বার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে সাংবাদিকতার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধবোধ নষ্ট হচ্ছে। যা একটি জাতির জন্য কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনবে না। এমন দায়িত্বহীন ভূমিকা অব্যাহত রাখলে যুগান্তরের প্রতি জনগণের অনাস্থার পরিধিই শুধু বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করি, যুগান্তর কর্তৃপক্ষ দায়িত্বহীনতার অবসান ঘটিয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন। বিভ্রান্ত নিরসনের স্বার্থে এই মিথ্যা প্রতিবেদনের জন্য দু:খ প্রকাশ করবেন এবং যে পৃষ্ঠায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে সেই পৃষ্ঠাতেই আমাদের প্রতিবাদটি ছাপাবেন।

নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকতার মত পবিত্র পেশার দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে মিথ্যাচার না করতে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।