সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮

চট্টগ্রাম থেকে অন্যায় ভাবে ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধার নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম ভুজপুর থেকে অন্যায় ভাবে ৫নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং তাদের জড়িয়ে পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, ঈদের পূর্ব মুহুর্তেও পুলিশ তার ঘৃণ্য আচরণ থেকে বিরত থাকতে পারেনি। গত ১৭ তারিখ কোন কারণ ছাড়াই অন্যায় ভাবে চট্টগ্রাম ভুজপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিবির নেতা আলাউদ্দিন, আবু জাফর, আব্দুল মামুন, মাইন উদ্দিন ও আবুল কাসেমকে। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ভুজপুর থানায় নিয়ে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে জিহাদী বই উদ্ধারের কথা প্রচার করে পুলিশ। কিন্তু পরের দিন তাদেরকে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এনে তাদের সামনে ছুরি ককটেল ও পিস্তল দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে। একই সাথে তাদেরকে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক মামলায় জড়িয়েছে পুলিশ। অথচ গ্রেপ্তারের পর প্রথম যখন তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয় তখন শুধু ইসলামী সাহিত্য ছিল এবং অস্ত্র উদ্ধারের কোন উল্লেখ ছিলনা। গ্রেপ্তার নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে সেখানেও অস্ত্রের কথা উল্লেখ নেই। পরে পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক মঞ্চায়ন করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মূলত পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীর ভূমিকায় অবর্তিণ হয়েছে। তারা সরকারের পেটুয়া বাহীনির মত আচরণ করছে। পুলিশের এই দায়িত্বহীন অমানবিক ঘৃণ্য অপকর্মের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং মেধাবী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পুলিশ এ অস্ত্র উদ্ধার নাটকের অবতারণা করেছে। এসব অস্ত্র উদ্ধার নাটকের সাথে পুলিশের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলেও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। নিরীহ ছাত্রদের অন্যায় ভাবে আটকের পর এমন নিকৃষ্ট নাটক সু-গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে সচেতন দেশবাসী মনে করে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শত ধিক্কারের পরও পুলিশ বার বার এমন নিকৃষ্ট কাজ করেই যাচ্ছে। ইতোপূর্বে বহুবার পুলিশ নিরপরাধ শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে অস্ত্র উদ্ধার ও জিহাদি বইয়ের নাটক সাজিয়েছে। যা সময়ের ব্যবধানে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে এবং মিথ্যাচারের জন্য পুলিশ জনগণের ধিক্কার কুড়িয়েছে। নিজ পেশা, জনগণের প্রতি ওয়াদা ও দেশের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাবোধ থাকলেও পুলিশ এমন দায়িত্বহীন কাজ করতে পারত না। পুলিশের এই ধারাবাহিক অমানবিক দায়িত্বহীনতায় হুমকির মুখে আজ হাজারো ছাত্রের জীবন। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রশিবির আদর্শবাদী সংগঠন। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পথ চলায় বিশ্বাসী। এসব অস্ত্র নাটকের সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। বরং সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পুলিশ বার বার এমন ঘৃণ্য নাটকের অবতারণা করেছে। পুলিশের এই প্রতিহিংসাপূর্ণ তামাশায় বহু মেধাবী ছাত্রের শিক্ষা জীবন আজ ধ্বংসের মুখে। আমরা অবিলম্বে এই বেআইনি কর্মকান্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে অন্যায় গ্রেপ্তার ও সাজানো নাটক থেকে বিরত থাকতে এবং গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।