মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮

সিলেটে পুলিশ কর্তৃক বন্দুক ঠেকিয়ে শিবির নেতার পায়ে গুলি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সিলেটে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালিন সময় বখতিয়ার বিবি সেন্টারে পুলিশ কর্তৃক অন্যায় ভাবে ছাত্রশিবির কোতয়ালী থানা পূর্বের সভাপতি ফাহাদ আহমেদের পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্রদখল, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোটে সরাসরি অংশ গ্রহণ ও শিবির নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে হামলা গুলি চালিয়ে পুলিশ তাদের দায়িত্বহীনতা এবং বর্বরতার বিকৃত রুপটি জাতির সামনে আরেকবার উন্মোচিত করেছে। কোন কারণ ছাড়াই অন্যায় ভাবে ছাত্রশিবির নেতা ফাহাদ আহমেদকে কেন্দ্রের ভিতরে নিয়ে পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেছে পুলিশ। তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। একই ভাবে সিলেট সিটির বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্রে শিবির নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটারদের উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে হামলা গুলি চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও দলবাজ নির্বাচন কর্মকর্তাদের সরাসরি সহায়তায় দিনের শুরুতেই সিলেটে বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নেয় ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনেই সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে হামলা ও কেন্দ্র দখল করেছে। অথচ পুলিশ অস্ত্রধারীদের মদদ দিয়ে নিরপরাধ শিবির নেতার পায়ে গুলি চালিয়েছে। পুলিশের এ আচরণ কোন ভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে পারে না। বরং তাদের আচরণ অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় হিংস্র সন্ত্রাসীদের মতই। জনগণের টাকায় লালিত পালিত হলেও পুলিশ আওয়ামীলীগের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে। পুলিশের এই দায়িত্বহীন ন্যাক্কারজনক ভূমিকা জাতির সাথে নিকৃষ্ট প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। পুলিশের ধারাবাহিক দানবীয় বর্বরতায় সন্ত্রাসী আর পুলিশের কর্মকান্ডের মধ্যে কোন পার্থক্য করতে পারছেনা জনগণ। তাদের বেআইনি বিমাতা সূলভ আচরণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল অবস্থানকে বার বার কলঙ্কিত করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মী এই দেশেরই সন্তান। এরাই আগামীদের বাংলাদেশ গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু পুলিশ দলীয় প্রতিহিংসা থেকে ফাহাদের মত বহু ছাত্রের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। অথচ মেধাবী ছাত্রদের জীবনকে ধ্বংস করে দেয়ার অধিকার আইন, সংবিধান বা জনগণ কেউই কোন বাহিনীকে দেয়নি। পুলিশ যদি কোন বিশেষ গুষ্টির ইশারায় নিজেদেরকে জনগণের প্রতিপক্ষের কাঁতারে দাঁড় করানোর এই ঘৃন্য ধারা অব্যাহত রাখে তাহলে এর পরিণাম শুভ হবে না। আইনের পবিত্র লেবাস ধারণ করে ঘাতকের ভূমিকা অব্যাহত রাখলে ছাত্রজনতার নিজেদের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গুলি বর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং শিবির নেতা ফাহাদ আহমেদসহ আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।