রবিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, অবৈধ সরকারের অপশাসন ও ধ্বংসাত্বক কর্মে জাতি আজ গভীর ভাবে শঙ্কিত। দেশের মানুষ গভীর অনিশ্চয়তায় দিন যাপন করছে। বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।


তিনি আজ নোয়াখালীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর শাখা আয়োজিত থানা দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শহর সভাপতি তাহসান হাবীবের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল রাকিবের পরিচালনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মিডিয়া সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, শহর অফিস সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শহর অর্থ সম্পাদক আব্দুল আজীজ শামীমসহ বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ।

শিবির সভাপতি বলেন, দেশ গভীর এক অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিরোধী মতের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ণ, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের খুন সন্ত্রাস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুম, নির্যাতন, দলবাজী ও হয়রানিতে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে মাদকের বিস্তার, লাগামহীন টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজী, আধিপত্য বিস্তার, অভ্যন্তরীন কোন্দল, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আগামী প্রজন্মকে সৎ দক্ষ ও নৈতিকতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় ভাবে ছাত্রদের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়ার ধ্বংস্বাত্বক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দেশের আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা দেওয়ার পরিবর্তে জাতি গড়ার কারিগরদেরকে হিংস্রতার দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। যার সর্বশেষ নজীর ছাত্রলীগের স্কুল কমিটির অপরপক্ষ কর্তৃক স্কুল ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা আদনান হত্যাকান্ড। খুনি ও খুন হওয়া ছাত্ররা স্কুল ছাত্র। এদের দ্বারা হত্যার মত জঘন্য অপরাধ হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু দেশের নৈতিকতা ও ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের হিংস্র করে তুলেছে। ফলে জাতিকে বার বার অপ্রত্যাশিত ও লোমহর্ষক ঘটনা দেখতে হচ্ছে। সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের প্রত্যাশার জায়গাটিতে হাজারো শঙ্কা স্থান করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, জাতি আজ সৎ নেতৃত্বের প্রত্যাশী। ছাত্রশিবিরকেই সেই প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের ছাত্রদের সৎ ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে সমসাময়িক জ্ঞানের পাশাপাশি কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান অর্জনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একই সাথে আমাদেরও ময়দানে কাজের গতি তীব্র করতে হবে। যে কোন মূল্যে প্রতিটি ছাত্রের কাছে ইসলামের আহবান পৌছে দিতে হবে। তাদেরকে কুরআনের আলোকে জীবন গঠনে সর্বাত্বক সহায়তা করতে হবে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে কাজ করতে হবে। শিবিরের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে জ্ঞানার্জন, উন্নত আমল, ক্যারিয়ার গঠন ও ময়দানে যথার্থ ভূমিকা পালন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট