রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে পরিকল্পিত ভাবে বিপদগামী করা হচ্ছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতে অনিয়ম দূর্নীতি এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে মেধা চর্চার সুযোগ থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাদক ও নোংড়া সংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে তাদের নৈতিক চরিত্রকে দূর্রল করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে পরিকল্পিত ভাবে বিপদগামী করা হচ্ছে।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত পলিটেকনিক কলেজ দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক হাসনাইন আহমেদসহ কেন্দ্রীয় ও পলিটেকনিক কলেজের দায়িত্বশীলবৃন্দ।

শিবির সভাপতি বলেন, সাধারণ ছাত্ররা যখন ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মকান্ডে ব্যপক হারে অংশ গ্রহণ করছে তখন আদর্শহীনরা হিংস্র রুপ ধারণ করেছে। অপশক্তি ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলার পাশাপাশি সাধারণ ছাত্রদের উপরও জুলুম নির্যাতন করছে। যে ধারা বিগত কয়েক বছর যাবত অব্যাহত আছে। সংখ্যাঘরিষ্ট মুসলমানের দেশ হওয়ার পরেও রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলামের বিরোধীতা চূড়ান্ত পর্যায়ে। ইসলামী কৃষ্টি কালচার সভ্যতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করে অপসংস্কৃতির প্রচার এবং প্রসারে সরকার সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ইসলামকে ধ্বংস করতে সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্র জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। যুব সমাজের একটি অংশকে কৌশলে ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবহারের করছে। ছাত্র ও যুবসমাজকে ইসলাম বিমুখ করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় চলছে মাদক আর ভিনদেশি অপসংস্কৃতির সয়লাব। যার ফলে যুবসমাজের একটি বিশাল অংশ আজ চরিত্রহীনতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। দেশকে থেকে মূল্যবান সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে আর পার্শবর্তী দেশ সিমান্তে ইয়াবাসহ মাদকের কারখানা খুলে সেই মাদকদ্রব্য সুকৌশলে এদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যা দ্রুত গতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের ধ্বংস করে দেয়ার সুগভীর ষড়যন্ত্র। যার প্রতিফলন দেশে এখন ধর্ষণ,খুন, মাদকের মহামারি চলছে। নব্য আইয়্যামে জাহিলিয়াতের ভয়াবহতা দেখে দেশের মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ চরম শঙ্কায় দিন যাপন করছে। এই নব্য জাহিলিয়াত থেকে মুক্তির এক মাত্র উপায় ইসলামের আলোকে ব্যক্তি ও সমাজ বিনির্মাণ।

তিনি বলেন, আমাদের উপর পাহাড়সম ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারেও স্বীয় আদর্শের ভিত্তির উপর টিকে থাকতে পারলে তাদের অপ্রচেষ্টা সময়ের পরিক্রমায় ব্যর্থ প্রমাণিত হবে। এসব অপকর্ম ও ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের শুধু বিরোধীতা করলে হবেনা। যুবসমাজকে বাঁচাতে প্রতিটি ছাত্রের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরতে হবে। তবে এক্ষেত্রে চারিত্রিক মাধুর্যতা দিয়ে ইসলামের পথে আহবান করাকে দাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক বানাতে হবে। শত অপপ্রচার বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও ছাত্রশিবিরের ছায়াতলে এসে অংশ নিয়ে লাখো তরুণ আজ তাদের নিজেদেরকে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমী হিসাবে তৈরি করার স্বপ্ন দেখছে। আমাদের মেধা ও যোগ্যতাকে আরো শানিত করতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির আজ শুধু একটি নামই নয়, বরং এটি দ্বীন কায়েমের দুঃসাহসী এক কাফেলার নাম। শিবির আজ পরিণত হয়েছে তৌহিদী ছাত্রজনতার আস্থা, ভালবাসা ও মুক্তির প্রিয় ঠিকানায়। ত্যাগ-কুরবানীর এক প্রচন্ড আগ্রহ, পরকালিন কল্যাণ কামনায় দেশ ও জাতির কল্যাণে ছাত্রশিবির সব বাধা মাড়িয়ে লক্ষ্য পানে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট