শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

মোঃ সিরাজুল ইসলাম

২৮শে অক্টোবর আমাদের যা কিছু শেখায়

২০০৬ সালের আটাশে অক্টোবর চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষদিন হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর জন্য সমাপনী সমাবেশ আয়োজনটা ছিল অত্যন্ত জরুরী। আর সে লক্ষ্যেই সমাবেশ আয়োজন করা হয় জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে, যে জায়গাটি আমাদের জন্য আবেগের, আমাদের প্রিয় ঠিকানা।

ঐতিহাসিকভাবেই জামায়াতে ইসলামী এ জায়গাটিতেই সমাবেশ করে এসেছে। সে ধারাবাহিকতায় এ সমাবেশ আয়োজনের জন্যও এ জায়গাটিকেই বেছে নেয়া হয়। সেখানে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের নেত্রীর ঘোষণার আলোকে লগি বৈঠা নিয়ে হামলা চালায়। শুধু লগি বৈঠা নয়, বরং তাদের নিত্য নৈমিত্যিক সঙ্গী আগ্নেয়াস্ত নিয়েও চলে তাদের হিংস্রতার প্রকাশ। সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ তাদের কর্মীদেরকে ঢাকায় এনেছিল সেদিন। আর তাদের ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী তো ছিলই। তাদের পূর্ব পরিকল্পিত সে হামলার বিপরীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা জীবন বাজি রেখেছে, প্রতিহত করেছে বাতিলের অপচেষ্টাকে। সারাদেশ থেকে নির্দেশ দিয়ে আনা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দেয়ার মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচীকে বাস্তবায়ন করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে অটল অবিচলভাবে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় দাঁড়িয়ে গেছে মর্দে মুজাহিদগণ। পাশ থেকে ভাইয়ের শাহাদাতকে দেখার পরে আবার সামনে এগিয়ে গিয়েছে, পিছপা হয়নি তাঁরা। আল্লাহর কাছে জানমালকে বিক্রির যে শপথ ঈমান আনার সময়েই করেছে তাঁরা, সে বিক্রি করা জানমালকে আল্লাহর জন্য নিবেদিত করেই পথ চলেছেন তাঁরা। আর তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে পছন্দ, আল্লাহ তাদের কবুল করেছেন শহীদ হিসেবে, আর যাদেরকে ইচ্ছা কবুল করেছেন গাজি হিসেবে। এ শহীদ আর গাজিদের সেদিনের বলিষ্ঠতা আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়ে চলে প্রতিনিয়ত।

২৮শে অক্টোবরের আলোচনা করতে গেলে অনেক প্রেক্ষিতেই আলোচনা করা যায়। আমি আজ সেদিনের ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কর্মপ্রচেষ্টা থেকে আমরা যে শিক্ষা নিতে পারি, তারই ক্ষুদ্র অংশ তুলে ধরতে চেষ্টা করব এখানে।

সংখ্যাধিক্য নয়, ঈমানী শক্তিই আসল-
সে প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রোগ্রাম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা ছিল খুব জরুরী। সে প্রোগ্রামকে আওয়ামীলীগ কর্তৃক বানচালের যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা প্রতিহত করার জন্য সেদিন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের খুব বেশী কর্মী ছিল না। ঈদের পরপর এ প্রোগ্রাম থাকায় অনেকেই সে সময় গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ঢাকায় অবস্থানরত কর্মীদেরকে নিয়েই সে প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। আর এ গুটিকয়েক মর্দে মুজাহিদই সেদিন হিংস্র হায়েনাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, অটল, অবিচল আর দৃঢ় হয়ে। যাদের কাছে জীবনের মায়া সেদিন কাজ করেনি। বরং আন্দোলনের প্রয়োজনে গুলির সামনে বুক পেতে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি তারা। আন্দোলনের মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে প্রয়োজনে আল্লাহর রাহে কুরবানী করেছে নিজেদের জীবনকে। তাদের সে ঈমানী শক্তিকেই হয়ত আল্লাহ কবুল করেছিলেন এবং এ প্রোগ্রাম শেষ পর্যন্ত চলমান রাখা ও সফলভাবে সমাপ্ত করার তৌফিক দিয়েছিলেন।

অটল-অবিচলতা আর দৃঢ়তা আমাদের ঐতিহ্য-
জামায়াতের মূল প্রোগ্রাম ছিল দুপুরের পরে। সকাল থেকেই প্রোগ্রামের প্রস্তুতি চলছিল। আর সে সময়েই হামলে পড়ে লগি বৈঠার কান্ডারীগণ। তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে হিংস্র থাবার প্রদর্শনে। মিছিল নিয়ে এসে দখল করে নিতে চায় বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটের প্রস্তুতিরত প্যান্ডেল বা মঞ্চকে। ভন্ডুল করে দিতে চায় গোছালো ও সুশৃঙ্খল আয়োজনকে। সে সময়ে বাতিলের এই হামলার প্রেক্ষিতে হয়ত জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রোগ্রাম বাতিল করতে পারত, কিন্তু তা করা হয়নি। কারণ অন্যায়ের কাছে পরাজিত হওয়া ইসলামী আন্দোলনের শিক্ষা নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের বিজয় কেতন ওড়ানো, জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ইসলামী আন্দোলনের নিয়ম, ঐতিহ্য আর ইতিহাস। যে শিক্ষাকে বুকে ধারণ করার কারণেই সেদিন ইসলামী আন্দোলন পিছপা হয়নি। কর্মীরাও অটল, অবিচল আর দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে, বাতিলের অন্যায় আবদারকে মেনে নেয়নি, পরাস্ত করেছে তাদের শয়তানী মনোবাঞ্ছাকে।

মাঠের কর্মী তৈরির পাশাপাশি বাড়ির কর্মীও তৈরি হয়েছে সমানতালে-
দ্বীনের বিজয়ে মাঠে থাকার জনশক্তি যেভাবে তৈরি হয়েছে, সে জনশক্তিদেরকে প্রস্তুত করে দিতে তাদের মায়েরাও তৈরি হয়েছেন ঠিকঠিক, আলহামদুলিল্লাহ। ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তিরা আন্দোলনের ডাকে যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছেন বাইতুল মোকাররমের দিকে, তখন শুধু তারাই বের হয়ে আসেননি, সাথে এনেছেন মায়েদের দোয়া, স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসা। মর্দে মুজাহিদ হয়ে শুধু সন্তানরাই বেড়ে ওঠেননি, মায়েরাও নিজেদেরকে ‘মর্দে মুজাহিদের মা’ হিসাবে গড়ে তুলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। হয়ত সন্তান শাহাদাতের আগে তা টের পায়নি, কিন্তু সন্তানের শাহাদাতের পরে শহীদের মায়েদেরকে ঠিকই চিনতে পেরেছে শহীদের সাথীরা। মায়েদের বলিষ্ঠ কণ্ঠ প্রমাণ করেছে, তাঁরা শহীদের মা হওয়ার জন্যে প্রস্তুত ছিলেন। প্রিয় কলিজার টুকরা সন্তানকে গড়ে তুলেছেন প্রিয়তম মনিব আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিবেদিত হতে। সন্তানরা জীবন দিয়েছেন আর মায়েদের রেখে গেছেন ‘শহীদের মা’ হিসেবে। শহীদ মুজাহিদ, শহীদ শিপন, শহীদ মাসুমদের মায়েদের স্মৃতিচারণ শুনলে এ অনুভূতির বাইরে ভিন্ন কিছু পাওয়া যায় না।

দায়িত্বশীলদেরকে আবেগ কন্ট্রোল করতে হয়-
যদ্দূর মনে পড়ে ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারী জেনারেল জাহিদুর রহমান ভাই ২৮শে অক্টোবরের স্মৃতিচারণে লিখেছিলেন, চলমান সে পরিস্থিতির কোন এক পর্যায়ে জামায়াতে ইসলামী তৎকালীন সম্মানিত সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ভাই উনাকে বলেছিলেন, “দায়িত্বশীলদেরকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়, আবেগকে কন্ট্রোল করতে হয়।” বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত কর্মীদের শাহাদাতের সংবাদের প্রেক্ষিতে যখন সেক্রেটারী জেনারেল হিসাবে নিজেকে শান্তনা দেয়া দুরূহ ব্যাপার ছিল, তেমনি সময়ে মুরুব্বীর এ উক্তি সত্যিই অনেক বড় গাইড হিসাবেই কাজ করেছে, সন্দেহ নেই।

মাথা ঠান্ডা রাখা দায়িত্বশীলদের প্রধানতম কর্তব্য-
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেলের এ নির্দেশনার মধ্যেই শুধু মাথা ঠান্ডা রাখার কথা ফুটে ওঠেনি। একই সাথে বিরোধীপক্ষের সেই মুহুর্মুহু গুলি আর বোমা বর্ষনের বিকট শব্দের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ভাই যে বক্তব্য রেখেছেন, যার রেকর্ড এখনও পাওয়া যায়, তাতে কী ঠান্ডা মাথার বক্তব্য, শুনলে আসলে আশ্চর্য্য হতেই হয়! যে ঠান্ডা মাথার বক্তব্য সত্যিকারেই কর্মীদেরকে আন্দোলনের মেজাজের ব্যাপারে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছে। যা আমাদের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে যুগ থেকে যুগান্তরে। একটি বিষয় বিশেষভাবে এখান থেকে শেখার সুযোগ রয়েছে। আর তা হলো, যেকোন ঘটনার আপাত বিজয় অর্জন করলেই হয় না, সুদূর প্রসারী ফলাফল প্রাপ্তির কথাও মাথায় রাখা জরুরী। মাওলানার এ বক্তব্য পরবর্তীতেও প্রমাণ হিসাবে রয়ে গিয়েছিল যে, অসভ্যতা আর হিংস্রতার জবাবে ইসলামী আন্দোলন কী পরিমান সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক আর সভ্য।

ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তিদের একাত্বতা
সেদিন ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তিরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল, গড়ে তুলেছিল এক সুদৃঢ় প্রাচীর। আর ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তিরা একে অপরের সাথে মিলে মিশে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় একতাবদ্ধ থাকার নির্দেশনা পেয়েছে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ থেকেই। আল্লাহ তায়ালা কুরআনের সূরা আস সফের ৪ নং আয়াতে বলেছেন-
إِنَّ اللَّـهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ ﴿٤﴾
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে।” (সূরা আস সফ-৪)
সেদিন যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেল, তার ছায়া সারাদেশে পড়েছে। সারাদেশের জনশক্তিরা সে ব্যাথা অনুভব করেছে। সাথীদের শাহাদাতের কফিন যেন পুরোদেশ বহন করেছে। হৃদয়গুলো যেন একাকার হয়ে একসাথে কেঁদেছে। দোয়া করেছে আহতদের জন্য। দোয়া করেছে শহীদদের জন্য। এ চিত্র রাসূলুল্লাহ সঃ এর বর্ণিত হাদিসেরই প্রতিচ্ছবি।

রাসূলুল্লাহ সঃ ঘোষণা করেছেন, “এক মুমিন অন্য মুমিনের ভাই।”(মিশকাত)
অন্য একটি হাদীসে এসেছে, হযরত নোমান ইবনে বশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, তুমি মুমিনদেরকে তাদের পারস্পরিক সহানুভূতি এবং বন্ধুত্ব ও দয়ার ক্ষেত্রে একটি দেহের মতো দেখবে। যখন দেহের কোন একটি অঙ্গ ব্যথা পায়, তখন শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর কারণে রাত জাগরণ ও জ্বরের মাধ্যমে তার ব্যথায় সম অংশীদার হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তিদেরকে থাকতে হয় প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সচেতন

আমরা অবাক হয়ে আওয়ামী লীগসহ বামপন্থী সংগঠনগুলোর ন্যাক্কারজনক চরিত্র দেখেছি। সেদিন তারা যে হিংস্র চেহারা প্রদর্শন করেছে তা তো সারাবিশ্ব দেখেছেই, সেই সাথে তাদের কলুষিত মিথ্যাচারের চরিত্রও সেদিন ফুটে উঠেছে। তারা জামায়াত কর্মী শহীদ হাবিবুর রহমানকে হত্যা করে সে লাশ নিয়ে মিথ্যাচারের নাটক সাজিয়েছে। শহীদ হাবিবুর রহমানকে নিজেদের কর্মী হিসাবে দাবী করেই শুধু ক্ষ্যান্ত হয়নি, বরং তাদের এক কর্মীকে সে লাশের মিথ্যা বাবাও সাজিয়েছে আওয়ামীলীগ, যিনি মিডিয়াতে শহীদ হাবিবুর রহমান ভাইকে নিজের সন্তান হিসাবে দাবী করে কথা বলেছে। সদ্য নিহত সন্তানের একজন পিতা হিসাবে যাকে সাজিয়েছে তারা, সে যেভাবে কথা বলেছে, কোনভাবেই কোন পিতা তার সন্তানের নিহত হওয়ার কথা এভাবে বলতে পারে না। যে কেউ তার সাক্ষাতকার দেখলে সন্দেহ করবে সত্যিই তার সন্তান নিহত হয়েছে কিনা!

পরবর্তীতে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে প্রমাণিত হয়েছে, শহীদ হাবিবুর রহমানের সাথে কথিত ঐ মিথ্যাচার আওয়ামী কর্মীর কোন সম্পর্ক নেই এবং শহীদ হাবিবুর রহমান তাদের কেউ নয় বরং তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন নিবেদিতপ্রাণ একনিষ্ঠ কর্মী। এখান থেকে দেখা যায় ইসলাম বিরোধীরা এমন কাজও করতে পারে, এমন মিথ্যাচারও করতে পারে, যা সত্যপ্রিয় কারো পক্ষে কোনভাবে কল্পনাতেও আনা সম্ভব নয়। ইসলামের দুশমনদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তাই ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদেরকে সদা সর্বদাই সচেতন থাকা জরুরী। তাদের ব্যাপারে সঠিক ধারণা রাখা ছাড়া আন্দোলনের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ কঠিন।

২৮শে অক্টোবরের সেদিনের চিত্র আমাদেরকে ইসলামী আন্দোলনের ঐতিহ্য স্মরণ করে দেয়, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের দৃঢ়তা শেখায়, ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের বিচক্ষণতা ও দায়িত্বশীলতা তুলে ধরে, বাতিলের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলনের প্রতিরোধ তুলে ধরে। সেই সাথে ২৮শে অক্টোবর সেক্যুলার, বামপন্থীদের চরিত্রের উন্মোচন করে, তাদের হিংস্রতার প্রকাশ করে, তাদের কুটকৌশলের বিদঘুটে স্বরূপ তুলে ধরে, মানবতার বিরুদ্ধে তাদের কর্মকাণ্ডকে দেখিয়ে দেয়। আমাদেরকে ২৮শে অক্টোবর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ইসলামী আন্দোলনের পথে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে, দ্বীনের বিজয়ে হতে হবে মর্দে মুজাহিদ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বাতিলের সকল ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দিন। এদেশে একটি সুন্দর শান্তিময় সুশীতল সমাজ বিনির্মাণের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদের আন্দোলনকে কবুল করুন। আমীন।

লেখক:
কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

সংশ্লিষ্ট