বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭

রাজশাহী থেকে ৬ শিবির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও জঙ্গি মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

ছাত্রশিবির রাজশাহী গোদাগাড়ী পৌরসভা শাখার সভাপতিসহ ৬ নেতাকর্মীকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে জঙ্গি মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, জঙ্গিবাদের মত স্পর্শকাতর ইস্যুকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার ও পুলিশ। গতকাল ছাত্রশিবির গোদাগাড়ী পৌরসভা শাখা সভাপতিসহ ৬ নেতাকর্মী মোহনপুর উপজেলার ধোপাঘাটে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে পুলিশ তাদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় তাদের রাতভর নির্মম নির্যাতন করে সকালে জঙ্গি মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। পুলিশ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদেরকে জঙ্গি মামলায় জড়িয়েছে। পুলিশের এই দায়িত্বহীন কর্মকান্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। তারা শিবির নেতাকর্মী এবং জঙ্গিদের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই উঠে না। জঙ্গি ইস্যুকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ভাবে ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সরকারের ইশারায় এই ষড়যন্ত্র করেছে পুলিশ। এর আগেও সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সারাদেশে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে পরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে কিছু দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে শিবির কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও এই ধরনের নীতিহীন তৎপরতা ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে দেশবাসী মনে করে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জঙ্গিবাদের মত স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে একের পর এক দায়িত্বহীন ও প্রশ্নবিদ্ধ ঘটনার জন্য পুলিশের প্রতি জনগণ এমনিতেই বিরক্ত ও ক্ষুদ্ধ। এর পরও এই ধরণের ঘটনা জনগণকে আরও বিক্ষুদ্ব করবে। আমরা অবিলম্বে এই সাজানো মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবী করছি। একই সাথে জঙ্গিবাদকে অপরাজনীতির হাতিয়ার বানানোর ঘৃন্য কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট