রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭

ইসলামের সুমহান বাণী প্রতিটি ছাত্রের নিকট পৌঁছাতে হবে-শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, বাঁধা বিপত্তি ইসলামী আন্দোলনে স্বাভাবিক ঘটনা। যারা আল্লাহর উপর ভরসা রেখে চির সত্য আদর্শকে ধারণ করেছে তারা সব বাঁধা মোবাবেলা করার ক্ষমতা রাখে। সুতরাং সকল বাঁধা বিপত্তি মোকাবেলা করেই ইসলামের সুমহান বাণী প্রতিটি ছাত্রের নিকট পৌঁছাতে হবে।

তিনি আজ নোয়াখালীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির নোয়াখালী অঞ্চলের সদস্য প্রার্থী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির ইতিবাচক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজকে সংস্কার করতে চায়। আজকের দিকভ্রান্ত ছাত্র সমাজকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এনে কাঙ্খিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর তা করতে হবে চারিত্রিক মাধর্যতা দিয়ে। তাই আমাদের চরিত্রে আমাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন থাকতে হবে। পরকালীন জবাবদীহিতার জন্য কুরআন ও হাদিস চর্চা বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে ত্রুটি-বিচ্যুতি গুলো দুর করতে হবে। এজন্য ছাত্রশিবিরের প্রতিটি সদস্যকে দ্বীনের দায়ীর ভুমিকা পালন করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি একমাত্র ইসলামী আদর্শই পারে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে। যুগের চাহিদার আলোকে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলাই একজন মূমিনের কাজ। ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদের সেই মূমিনের গুনাবলী অর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন আল্লাহর পক্ষ থেকে আমানত। এই আমানাতকে রক্ষা করে ময়দানে টিকে থাকা আন্দোলনের কর্মীদের ঈমানী দায়িত্ব। আর এই দায়িত্বের ব্যপারে সবাইকে পেরেশান হতে হবে। জ্ঞান ও উন্নত চরিত্র হবে দায়িত্বশীলের অন্যতম মানদন্ড। এ ক্ষেত্রে কুরআন এবং হাদীসের জ্ঞান অর্জনে বেশী নজর দিতে হবে, এবং কোরআন হাদীসের জ্ঞান অর্জনে আপোষহীন হতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের চিন্তা ও চেতনাকে কুলুষমুক্ত রাখতে হবে। দ্বীনি কাজ করতে গিয়ে নির্বিক থাকতে হবে। দায়িত্বশীলরা যদি কুরআনের আলোকে মৌলিক গুনাবলীগুলো অর্জন করতে পারে তাহলে ছাত্রশিবিরই আগামী দিনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট