রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭

এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তসহ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা

সুপ্রিয় বন্ধু
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সাফল্যের সাথে অতিক্রম করলে তুমি। আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন গ্রহণ করো। জানি, তোমার খুশিতে অংশগ্রহণ করার সাধ্য কারো নেই, শুধু সেই আনন্দের গভীরতাটুকুই উপলব্ধি করা সম্ভব। তাই আমরাও তোমার এহেন সাফল্যে গৌরবান্বিত এবং আশান্বিত। এটাই তো চেয়েছি আমরা। জীবনের প্রতিটি সিঁড়ি এভাবেই একের পর এক টপকে যেতে হবে। সে স্বপ্ন ও প্রত্যয় তোমার চোখে-মুখে অঙ্কিত হয়ে উঠেছে। এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তোমার পদচারণায় ও কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে।

বন্ধু, তোমার এই সফলতার পেছনে যাদের অবদান মিশে আছে বিশেষ করে যারা দিনের পর দিন কষ্ট করেছেন, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, সর্বোপরি মহান রবের দরবারে দোয়ার হাত প্রসারিত করেছেন তাদেরকেও অভিনন্দন। হ্যাঁ বন্ধু, আনন্দ উদযাপন করছো ঠিক আছে, তবে স্মরণ রেখো-আজ তুমি যেভাবে এইচএসসি / আলিম পরীক্ষা সাফল্যের সাথে অতিক্রম করলে, আগামীতে উচ্চশিক্ষার বাকি স্তরগুলো আরও দক্ষতার সাথে পার হতে হবে। তবেই সমাজের অনেক বড় একজন মানুষ হয়ে পরিবার-দেশ ও জাতির কল্যাণার্থে যে কর্মপরিকল্পনা করবে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। ভুলে যেও না যে এভাবে মানুষ ও বিশ্বজগতের কল্যাণ সাধনের দ্বারা নিজের সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূর্ণ করে পরকালে সৃষ্টিকর্তার নিকট আপন কাজের হিসাব প্রদান করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনই তোমার জীবনের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে তাই প্রয়োজন আরো বেশি মনোযোগ, কঠোর অধ্যবসায়, দৃঢ় প্রত্যয়, অটুট মনোবল আর মনের মধ্যে স্বতঃফূর্ত প্রেষণা। কোন কারণে যারা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারেনি তাদেরকে সান্তনা ও অনুপ্রেরণা দেয়ার মাধ্যমে তাদেরকেও পরবর্তিতে ভালো ফলাফল করার ব্যাপারে আগ্রহ সৃষ্টির দায়িত্ব তোমাদেরই উপরই রইলো।

একটি সুন্দর আগামীর জন্য বিশ্বমানবতার কল্যাণে বাংলাদেশ এক অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় উৎসে পরিণত হতে পারে। এজন্য দরকার কিছু যোগ্য মানুষের, যারা একই সাথে হবে সৎ, দক্ষ, আন্তরিক ও দেশপ্রেমিক। যার অভাব আমরা প্রতিনিয়ত উপলদ্ধি করছি। বন্ধু, তুমি সেই অভাব পূরণ করে একধাপ এগিয়েছো। বাংলাদেশ তাই তোমাকে নিয়ে একটি সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখছে। জেনে রেখো, এ দেশের অসংখ্য অবহেলিত বঞ্চিত মানুষ তোমার ফলাফলে আশান্বিত। একজন আদর্শ ও যোগ্য মানুষ হিসেবে জগতের সামনে নিজেকে পেশ করার চেষ্টায় আজ থেকেই তুমি শপথ গ্রহন করো।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির তোমাদের নিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছে। আমরা চাই নৈতিক ও মানবিক যোগ্যতার সমন্বয়ে গঠিত একদল সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে উপহার দিতে। তুমিই আমাদের প্রত্যশার ধ্রুবতারা। তোমার, আমার, আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে আমরা মানুষের মুক্তি ও কল্যাণে কাঙ্ক্ষিত পথের রেখা আঁকতে সক্ষম হবো বলে আমাদের বিশ্বাস।

আমাদের বিশ্বাস বিগত সময়ের মত আগামীতেও তোমার মত মেধাবীদের নেতৃত্বে ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজ ও মানবতার কল্যাণে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট