চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ
চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে ছয় সেনা সদস্যসহ ব্যপাক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ শোকবার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, অতি বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটি, বান্দরবান এবং চট্টগ্রামে ১৩৬ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে ৬ সেনা সদস্য রয়েছেন(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এছাড়া পাচঁ জন সেনা সদস্যর অবস্থা আশঙ্কাজনক, নিখোঁজ রয়েছেন আরো এক সেনা সদস্য। বিপদগ্রস্ত মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের সেনাবাহীনির সদস্যরা আত্মত্যাগের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা জাতি কোন দিন ভূলবে না। এ বিপর্যয়ে প্রতিটি মৃত্যু জাতিকে গভীর ভাবে শোকাহত করেছে। এ ক্ষতি অপূরণীয়। আমরা পাহাড় ধসে নিহত ও বিপদগ্রস্তদের বাঁচাতে গিয়ে জীবন দানকারী সেনা সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানিতে পুরো জাতি আজ শোকাহত। নিহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে এখনো উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা যায়নি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। প্রতিবছরই পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহিানির ঘটনা ঘটছে, এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। অনতিবিলম্বে পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বাড়ি চিহ্নিত করে তা নিরাপদ স্থানে পূনর্বাসন করতে হবে।
আমরা মহান আল্লাহর কাছে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
সংশ্লিষ্ট
- কাছে কিংবা দূরে থাকি হৃদয়ের বন্ধন অটুট রাখি
- 'শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা' জীবন-সৌন্দর্যের নান্দনিক প্রতিচ্ছবি
- ইসলামী বিপ্লবের স্বাভাবিক পদ্ধতি
- প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির উনচল্লিশ বছর "আমাদের পথচলা"
- আমরা কি চাই? কেন চাই? কিভাবে চাই?
- ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং করণীয়
- ঈদুল আজহা: নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের এক অনুপম শিক্ষা
- আল্লাহর সৈনিকের পরাজয় নেই
- ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য
- বদরের ঐতিহাসিক শিক্ষা- সর্বাগ্রে আল্লাহর উপর নির্ভরতাই বিজয় অর্জনের শর্ত