মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে শিবির নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের এত দিন পরেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। যা মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে শিবির নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আজ ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় কেন্দ্রীয় দাওয়া সম্পাদক শাহীন আহমেদ খানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে নারী ও শিশুসহ মোট আট জন নিহত ও শত শত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ এ দূর্যোগের আগেই সতর্ক বার্তা ছিল। অন্যদিকে দূর্যোগের এত দিন পরও ক্ষতিগ্রস্তরা স্বাভাবিক হতে পারে নি। বরং সরকারের সহায়তার অপ্রতুলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ অবস্থায় দুর্গতদের সহায়তার জন্য সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং ব্যাক্তিগত উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ছাত্রশিবির সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছে। ছাত্রশিবিরের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। একই সাথে আমরা সরকারের প্রতি আহবান রেখে বলতে চাই, প্রয়োজনে এসব এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বিক সহযোগিতা ও পূণর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরও উচিৎ ত্যাগের এই মাসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা বিশ্বাস করি উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ধৈর্য্য ও সাহসিতা দিয়ে এ সমস্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট