রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন চালাচ্ছে সরকার

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, বিজাতীয় সংস্কৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রাকে রাষ্ট্রীয় করণের মাধ্যমে নিজস্ব সত্তা ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে বিসর্জন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে বিভিন্নভাবে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন চালাচ্ছে সরকার।

তিনি আজ চট্টগ্রামের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শাখা আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্পের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের পরিচলানায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, মহানগর শিবির সেক্রেটারী সরোয়ার কামাল শিকদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

শিবির সভাপতি বলেন, দেশের তরুণ সমাজকে পরিকল্পিতভাবে বিপথগামী করা হচ্ছে। নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অবহেলা করে অপসংস্কৃতির চারণভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে বাংলাদেশকে। চলছে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন। যার আরেকটি উদাহরণ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে রাষ্ট্রীয়করণ। অথচ দেশবাসী এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যাপারে বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম একমত যে, মঙ্গল শোভাযাত্রা বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ এবং ইসলামের দৃষ্টিতে এটি সম্পূর্ণ হারাম। কোন পক্ষকে খুশি করতে ক্ষমতার জোরে জনগণের উপর ভিন্ন ধর্মের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় কথিত অশুভ শক্তির ভাস্কর্যের কপালে আঁকা হয়েছে ইসলামী ঐতিহ্যের চিহ্ন ”চাঁদ তারা"। অর্থাৎ, মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রকাশ্যেই ইসলাম অবমাননা করা হয়েছে। এছাড়া, দেবতার প্রতীক হিসেবে সূর্য এবং অন্যান্য জীব-জন্তুর মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে থাকে যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। ঢোল বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করে সড়ক প্রদক্ষিণ করার রীতি কখনো বাংলা সংস্কৃতির অংশ নয় বরং তা একটি বিশেষ ধর্মীয় সংস্কৃতি। একইভাবে হোলি উৎসবকেও কৌশলে সার্বজনীন রুপ দিতে একটি চক্র অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু, চাপিয়ে দেয়া অপসংস্কৃতি জনগণ মেনে নেয় নি বরং তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, নিজস্ব জাতিসত্ত্বা বিলীন করে দিয়ে কখনো সমৃদ্ধ জাতি গঠন সম্ভব নয়। অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এসব অপকর্ম ও ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রের শুধু প্রতিবাদ করলে হবেনা বরং প্রতিবাদের সাথে সাথে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর এবং তা অবশ্যই আমাদের নিজস্ব মূলবোধের ভিত্তিতে। তাই এসব ষড়যন্ত্রের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় ইসলামী মুল্যবোধের সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে হবে। দেশবাসীকে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন করতে হবে।