সোমবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৭

মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত

আল্লাহকে যারা বেসেছে ভালো দুঃখ কি আর তাদের থাকতে পারে

জুনের প্রথম সপ্তাহে পাবনার সাঁথিয়ার মনমথপুরে কবর জিয়ারত করে এলাম। জিয়ারত শেষে সেখানে রাখা সংরক্ষিত শোকবইয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম। আবেগের তাড়নায় সেদিন শোকবইয়ে কী লিখেছি বাসায় বসে সে কথাগুলো ভাবছিলাম আর আমার মনের ভেতর থেকে একটি প্রেরণাদায়ক গান উচ্চারিত হচ্ছিল। আমাদের প্রেরণার জন্য অনেক গান রয়েছে, যেগুলো গুনগুন করে গেয়ে আমরা মনে প্রশান্তি পাই।

সেদিন বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার চৌধুরী গোলাম মাওলা রচিত ‘আল্লাহকে যারা বেসেছে ভালো দুঃখ কি আর তাদের থাকতে পারে, হতাশা কি আর তাদের থাকতে পারে’- গানটি গুনগুন করে গাইছিলাম আর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর শোকবইয়ে কী লিখেছি তা স্মরণ করার চেষ্টা করছিলাম। ভাবনায় গানের কথাগুলোর সাথে সংরক্ষিত শোকবইয়ে লেখা আমার কথাগুলোর মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম। সেদিন আবেগ দিয়ে যে কথাগুলো লিখেছিলাম বাস্তবে আমার মনে হচ্ছিল আমি যথার্থই লিখেছি। শোকবইয়ে আমি লিখেছিলাম ‘শহীদ মাওলানাকে আওয়ামী অবৈধ সরকার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে যে হত্যা করেছে, এটি আজ দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আমরা ব্যথিত, ভারাক্রান্ত এবং শোকাহত। তবে স্পষ্ট বলে দিতে চাই, আমরা হতাশ নই। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলার এই সবুজ জমিনে একদিন কালেমার পতাকা পতপত করে উড়বে ইনশাআল্লাহ। সেই প্রত্যাশায় রইলাম …।’

সেদিনের লেখা সংরক্ষিত শোকবইয়ের লাইনগুলো আর গানের কথাগুলো থেকে আমি হতাশার পরিবর্তে প্রেরণাদায়ক শক্তি খুঁজে পেলাম। দুঃখ-কষ্টকে লালনের পরিবর্তে দ্বীনবিজয়ের স্বপ্ন বুনার দীক্ষা পেলাম। আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ব্যথিত, ভারাক্রান্ত এবং শোকাহত হওয়ার পাশাপাশি দুঃখ-কষ্ট ও হতাশাকে লালন করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা যে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা এবং সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যম ধৈর্য তা আমরা অনেকেই উপলব্ধি করতে পারি না। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। আর আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়, তাদের তোমরা মৃত বল না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না। নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা, জান ও মাল এবং ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করব। (হে নবী!) আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন। আর তারাই ধৈর্যশীল যারা বিপদের সময় বলে আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে তারই দিকে ফিরে যাবো।” (সূরা বাকারা : ১৫৩-১৫৬) আল কুরআনে আল্লাহ আরো বলেন, “তোমরা হতাশ হয়ো না, দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা সত্যিকার মুমিন হয়ে থাকো।” (সূরা আলে ইমরান : ১৩৯) আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করবো না কেন? তিনিই তো আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন। তোমরা আমাদেরকে যে পীড়া দিচ্ছো আমরা অবশ্যই তা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করব এবং যারা আল্লাহর ওপরই ভরসা করতে চায় তারা ভরসা করুক। (সূরা ইবরাহিম : ১২)

যারা সত্যিকারের মুমিন এবং আল্লাহকে ভালোবাসেন তারই ওপর ভরসা করেন, দুঃখ-কষ্ট কিংবা হতাশায় তারা কখনো ভারাক্রান্ত হতে পারেন না। কারণ যারা মহান আল্লাহর পথের অনুসারী, তারই দ্বীনবিজয়ের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেন, দুঃখ-কষ্ট ও যাতনাকে বরণ করে নেন, তাদের জন্যতো মহান আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যান। কারণ আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনি মানুষের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। আমাদেরও উচিত মহান আল্লাহ তায়ালার ওপরই ভরসা করা। জেল-জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন কিংবা রিজিক হারানোর ভয় যেন আমাদেরকে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা থেকে বিরত না রাখে। বরং ভয় শুধু আল্লাহকেই করা উচিত, কেননা তিনিইতো রিজিকের মালিক, তিনি ইচ্ছা করলে পাখির রিজিকের মতো কিংবা ধারণাতীত জায়গা থেকেও মানুষের জন্য উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করেন। আল কুরআনে এসেছে, “আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ্ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” (সূরা ত্বালাক : ২-৩) “আর আল্লাহর ওপর মুমিনগণ ভরসা করবে। ভরসা করা মুমিনদের উচিত।” (সূরা ইবরাহিম : ১১) নিশ্চয়ই যারা নিজেদের আল্লাহকে না দেখেও ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও অতি বড় সাফল্য। (সূরা মূলক : ১২) যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ারদিগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। (সূরা আনফাল : ২) এ প্রসঙ্গে হজরত ওমর (রা) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসূল (সা) বলেছেন, যদি তোমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করার হক আদায় করতে তবে তিনি পাখিকে রিজিক দেয়ার মতোই তোমাদেরকেও রিজিক দিতেন। পাখিতো সকালে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে। (তিরমিজি)

শুধু রিজিক কেন, জীবন চলার পথে সাফল্য পেতে প্রতিটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সবার আগে আল্লাহর ওপরই ভরসা করা উচিত। কারণ আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনি সরাসরি বান্দাহকে সাহায্য করেন এবং ভরসাকারীদেরও ভালোবাসেন। সূরা আলে ইমরানের ১৫৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “তারপর আপনি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে আল্লাহর ওপরই ভরসা করবেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ (তাঁর ওপর) ভরসাকারীদের ভালোবাসেন।” আল্লাহর ওপর ভরসা করে সরাসরি সাহায্য পাওয়ার একটি ঐতিহাসিক ঘটনাটি তুলে ধরছি, যা রাসূল (সা)-এর হিজরতের সময় সাওর গুহায় ঘটেছিল। মক্কার কাফেররা যখন নবী (সা)কে হত্যা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তিনি শুধুমাত্র একজন সাথী হজরত আবু বকর (রা)কে সঙ্গে নিয়ে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে বের হয়ে পড়েন। পথে সাওর নামক গিরিগুহায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকা মক্কার কাফির বাহিনী খুঁজতে খুঁজতে একপর্যায়ে যে গিরিগুহায় রাসূল (সা) ও আবু বকর (রা) আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন সেই সাওর গুহার মুখে পৌঁছে গেলো। হজরত আবু বকর (রা) ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন। তিনি ভাবলেন, দুশমনদের একজন যদি ভেতরে ঢুকে একটুও উঁকি দেয়, তাহলে তারা রাসূল (সা)কে দেখে ফেলবে। কিন্তু রাসূল (সা) একটুও বিচলিত হলেন না। তিনি হজরত আবু বকর (রা)কে এই বলে সান্ত্বনা দিলেন, “চিন্তিত হয়ো না, মন খারাপ করো না, অবশ্যই আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।” এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, “তোমরা যদি নবীকে সাহায্য না কর, তাহলে কোনো পরোয়া নেই। আল্লাহ তাকে এমন সময় সাহায্য করেছেন যখন কাফেররা তাকে বের করে দিয়েছিল, যখন সে ছিল মাত্র দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জন, যখন তারা দু’জন গুহার মধ্যে ছিল, তখন সে তার সাথীকে বলেছিল, চিন্তিত হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। সে সময় আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তার ওপর মানসিক প্রশান্তি নাজিল করেন এবং এমন সেনাদল পাঠিয়ে তাকে সাহায্য করেন, যা তোমরা দেখনি এবং তিনি কাফেরদের বক্তব্যকে নিচু করে দেন। আর আল্লাহর কথা তো সমুন্নত আছেই। আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।” (সূরা তওবা : ৪০)

মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ)কে আগুনে নিক্ষেপ এবং আগুন থেকে সম্পূর্ণ অক্ষত থাকার ঘটনা ইতিহাসসমৃদ্ধ। সে সময়ও হজরত ইবরাহিম (আ) মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করেই আগুন থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিস রয়েছে, তিনি বলেন, ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হলো, তখন তিনি বললেন, হাসবুনাল্লাহু ওয়া-নি’মাল ওয়াকিল অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই উত্তম অভিভাবক। আর লোকেরা যখন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথীদের বলল, (শত্রু বাহিনীর) লোকেরা তোমাদের বিরুদ্ধে সমবেত হচ্ছে, তাই তোমরা তাদের ভয় কর, তখন তাদের ঈমান বেড়ে গেল এবং তারা বলল, হাসবুনাল্লাহু ওয়া-নি’মাল ওয়াকিল অর্থাৎ আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি উত্তম অভিভাবক। (বোখারি) হজরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বোখারির আরেকটি বর্ণনায় আছে, আগুনে নিক্ষেপকালে ইবরাহিম আলাইহিস সালামের শেষ কথা ছিল, হাসবুনাল্লাহু ওয়া-নি’মাল ওয়াকিল (আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই উত্তম অভিভাবক)। চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক আবু আলি ইবনে সিনা যেকোনো কাজে মহান আল্লাহর ওপরই ভরসা করতেন এবং কাজে সাফল্যও পেতেন। তিনি যখনই কোনো জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতেন তখনই আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার কাছে সাহায্য চাইতেন। জটিল বিষয় সমাধানকল্পে তিনি ছুটে যেতেন জায়নামাজে, দাঁড়িয়ে যেতেন নফল নামাজে আর দুই হাত তোলে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ তুমি আমার জ্ঞানের দরজাকে খুলে দাও।’

আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোনো বান্দাই একটি মুহূর্তও অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গাঢ় ও গভীর হয়। আল্লাহ্ বলেন, “আর ভরসা কর সেই জীবিত সত্তার (আল্লাহর) ওপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না।” (সূরা ফুরকান : ৫৮) আল্লাহ বলেন, “তোমরা যদি মুমিন হয়ে থাকে তবে আল্লাহর ওপরই ভরসা কর।” (সূরা মায়েদা : ২৩) তিনি আরও বলেন, “মুমিনগণ যেন একমাত্র আল্লাহর ওপরই ভরসা করে।” (সূরা তওবা : ৫১) এ প্রসঙ্গে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিস রয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো ব্যক্তি নিজ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলে, আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি), আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) করলাম। খারাপ বিষয় থেকে ফিরে থাকা আর ভালো বিষয়ে সামর্থ্য রাখা আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত সম্ভব নয়- তাহলে তাকে বলা হয়, তোমাকে সঠিক পথ দেখানো হলো (আল্লাহই) তোমার জন্য যথেষ্ট হলো, তোমাকে রক্ষা করা হলো। আর তখন শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়।” (আবু দাউদ, তিরমিজি ও নাসায়ি) অপর একটি হাদিস উম্মুল মুমিনিন হজরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত (তার মূল নাম হিন্দ বিনতে আবু উমাইয়া হুযায়ফা আল মাখযুমিয়্যাহ) (তিনি বলেন), নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নিজ ঘর থেকে বের হতেন, তখন বলতেন, “আল্লাহর নামে বের হলাম, তাঁর ওপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) করলাম। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি, যেন আমি পথভ্রষ্ট না হই আর আমাকে যেন পথভ্রষ্ট করা না হয়। আমার যেন পদস্খলন না হয় বা পদস্খলন করা না হয়। আমি যেন কারো ওপর অত্যাচার না করি বা কারো দ্বারা অত্যাচারিত না হই। আমি যেন মূর্খতা অবলম্বন না করি বা আমার সাথে মূর্খতা সুলভ আচরণ না করা হয়।”

তাওয়াক্কুল তথা আল্লাহর ওপর ভরসার নীতি অবলম্বনকারী ব্যক্তি কখনো হতাশ হয় না, দুঃখকে লালন করে না। আশা ভঙ্গ হলে মুষড়ে পড়ে না। বিপদ-মুসিবত, লড়াই-সংগ্রাম-সঙ্কটে ঘাবড়ে যায় না। যে কোনো দুর্বিপাক, দুর্যোগ, সঙ্কট, বিপদ-মুসিবতে আল্লাহ তাআলার ওপরই দৃঢ়আস্থা রাখে। ঘোর অমানিশার অন্ধকারেও আশা করে উজ্জ্বল সুবহে সাদিকের। যত জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নের ঝড়-তুফানই আসুক না কেন, কোনো অবস্থাতেই সে আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আল্লাহর ওপর ভরসাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাথেয়। আল্লাহর ওপর ভরসা করে, ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে যদি দৃঢ় কদমে আমরা লক্ষ্যপানের দিকে এগোতে পারি তাহলে নিশ্চয় আমাদের জন্য উজ্জ্বল সুবহে সাদিক অবশ্যম্ভাবী।

লেখক : কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

সংশ্লিষ্ট