শনিবার, ১১ মার্চ ২০১৭

১১ই মার্চের শহীদেরা ইসলামী আন্দোলনের প্রেরণার উৎস

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেছেন, বাতিলপন্থী ছাত্রসংগঠন গুলোর হত্যানির্ভর রাজনীতির শিকার হয়ে সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রান্তর শিবির নেতাকর্মীদের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। বর্বরদের সেই নৃশংসতা আজও অব্যাহত আছে। কিন্তু ছাত্রশিবির দমে যায়নি। বরং শহীদদের স্বপ্ন পূরণে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ১১ই মার্চের শহীদেরা ইসলামী আন্দোলনের প্রেরণার উৎস।

তিনি আজ কুমিল্লা মহানগরীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির কুমিল্লা মহানগরী শাখার উদ্যোগে শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শিবির সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ একদিকে নির্মম ও বর্বতার অন্য দিকে চরম ধৈর্যের নিদর্শনের দিন। সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ছাত্রদের সংবর্ধনার আয়োজন করে ছাত্রশিবির। কিন্তু ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী সহ ইসলাম বিদ্বেষী কতক সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে একের পর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করে ব্যর্থ হয়ে হত্যার পথ বেছে নেয়। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে শিবিরকর্মীদের উপর হামলা চালায়। আহত হয় অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী ও শিবির নেতাকর্মীরা। সন্ত্রাসীদের হামলায় শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন শহীদ সাব্বির ও শহীদ আবদুল হামিদ। পরদিন তাদের কাতারে যুক্ত হন শহীদ আইয়ুব। আর দীর্ঘ ১০ মাসের যন্ত্রণা ভোগের পর ২৮ ডিসেম্বর মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যান শহীদ আবদুল জব্বার। সেদিন অকুতভয় শিবির নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ সাহসিকতা ও ধৈর্য্য দিয়ে নজির বিহীন ইতিহাসের সৃষ্টি করে। নেতকর্মীরা জীবন দিয়েছিলেন কিন্তু কালেমার বানী প্রচার ও প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় থেকে সরে আসেন নি।

তিনি আরও বলেন, সেদিন বাতিলেরা ভেবেছিল এই বর্বর হত্যাকান্ড চালিয়ে ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। কিন্তু রক্ত ঝরিয়ে আদর্শকে দমন করা যায়না বরং আন্দোলনের ভিত্তি আরও মজবুত হয়। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছাত্রশিবিরের আজকের অবস্থান। সেই শহীদদের ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত অসংখ্য নেতাকর্মী জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। এখনো চলছে জুলুম নির্যাতন। কিন্তু ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য থেকে পিছু হটেনি এবং হটবেও না ইনশাআল্লাহ। ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা এই জুলুম নির্যাতনকে ইসলামী আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে। যাদেরকে হত্যা করে বাতিল শক্তি ইসলামী আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে চেয়ে ছিল তারাই আজ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রেরণার উৎস। আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি এই প্রেরণার পথ ধরে এ জমিনে একদিন সমৃদ্ধ সোনালী সমাজ নির্মিত হবে ইনশাআল্লাহ। 

সংশ্লিষ্ট