বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

নীতিহীন নেতৃত্ব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, বর্তমান নেতৃত্ব দেশের সমস্যা সমাধানও জাতির প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এই অদক্ষতা ও নীতিহীনতার কারণেই দেশের মানুষ আজ দ্বিধা বিভক্ত। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ অশান্তিতে দিন যাপন করছে। এর মূল কারণ নীতিহীন অদক্ষ নেতৃত্ব। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নাই।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখা আয়োজিত থানা দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি ডা. মোজাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ড. রেজাউল করিম, আবদুল জব্বার এবং কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

শিবির সভাপতি বলেন, দেশ আজ চরমভাবে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের সংকটে ভুগছে। রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে অদক্ষ ও অসৎ ব্যাক্তিদের দ্বারা। দেশের সর্বক্ষেত্রে মেধাবীদের তুলনায় দলীয় লোকজনকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। ফলে মেধাবী নেতৃত্বের শুন্যতা কাটিয়ে উঠা যাচ্ছেনা। এই অসৎ নেতৃত্বের কারণে আজ দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে গেছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে পার্শবর্তী দেশ আজ ইচ্ছামত ফায়দা লুটে নিচ্ছে আর দেশের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। জনগণের আশা আকাঙ্খা ও মতামতের তোয়াক্কা না করে সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বিদেশী শক্তির মন জোগাতে ব্যাস্ত। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ট্রানজিটের নামে করিডোর ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সুন্দর বন ধ্বংস তার জ্বলন্ত উদাহারণ। সার্বিক ভাবে বলা যায় অসৎ ও মেধাহীন নেতৃত্বের কুফল ভোগ করছে জাতি। ফলে আমরা প্রতিদিন পিছিয়ে যাচ্ছি। এ অবস্থার পরিবর্তন না ঘটালে অচিরেই জাতি তার স্বকীয়তা হারাবে।

তিনি আরও বলেন, মেধাবী ও সৎ নেতৃত্ব কায়েমের জন্যই ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে। যদিও আমাদের এই পথচলাকে বার বার বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে তবুও সংগঠনের নেতাকর্মীরা থমকে দাঁড়ায়নি। ছাত্রশিবির ইসলামের সুমহান আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে এগিয়ে চলছে। এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ছাত্রের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পৌছাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কাজের গতিকে আরো তরান্বিত করার সুযোগ রয়েছে। মহান রাব্বুল আলামীনের ওপর ভরসা করে আমাদেরকে দেশের প্রতিটি ছাত্রের মাঝে কুরআনের শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। গড়ে তোলতে হবে এক প্রত্যাশিত কল্যাণময় সোনার বাংলা।