বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬

ভারসাম্যপূর্ণ জীবন গঠনের মাধ্যমে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যেতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান বলেছেন, দেশে অপরাজনীতি ও অশুভ চর্চায় জাতি হতাশ হয়ে পড়েছে। কিন্তু সমৃদ্ধ জাতি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রশিবির এগিয়ে চলেছে। তাই ভারসাম্যপূর্ণ জীবন গঠনের মাধ্যমে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আজ নারায়নগঞ্জের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির নারায়নগঞ্জ মহানগরী শাখার বার্ষিক সদস্য বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগরী সভাপতির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারীর পরিচালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক রাকিব মাহমুদ, শিক্ষা সম্পাদক এম এইচ সোহেল, আইন সম্পাদক খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

শিবির সভাপতি বলেন, প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আজকের ছাত্রসমাজ, যাদের বেশির ভাগই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু ছাত্রসমাজের বিশাল একটি অংশ যখন নানা অপকর্মের মাধ্যমে জাতিকে হতাশ করে চলেছে তখন ছাত্রশিবির তার বিপরীতে অবস্থান করছে। দেশে ছাত্র রাজনীতি যখন অস্ত্র ও সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছিল তখন ছাত্রশিবির মেধা ও নৈতিকতা সম্পন্ন নাগরিক গঠনের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। সময়ের ব্যবধানে ছাত্র রাজনীতিতে অস্ত্রের ঝনঝনানী, দলীয় লেজুড়বৃত্তি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, মাদক, ইভটিজিং, ধর্ষণের সেঞ্চুরির তকমা লেগেছে। কিন্তু ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক পথ চলা সব সময়ই এসব অশুভ তৎপরতা থেকে মুক্ত ছিল এবং এখনো আছে। ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে ছাত্রশিবির লাখো ছাত্রকে কাঙ্ক্ষিত মানে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত মনজিলে পৌঁছাতে পারিনি।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ইসলামবিরোধী শক্তির হাজারো বাধা-বিপত্তি, ক্ষমতাসীনদের ক্রমাগত নির্যাতন নিষ্পেষণ সত্ত্বেও ছাত্রশিবিরের ক্রিয়াশীল, সৃজনশীল ও জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডের ফলে এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। কোন প্রতিক্রিয়াশীল, ষড়যন্ত্রকারী ও দমনমূলক কার্যক্রম এই সংগঠনের গতিশীলতাকে রুখতে পারেনি এবং পারবেও না ইনশাআল্লাহ। ছাত্রশিবিরের এই ব্যতিক্রমধর্মী গঠনমূলক পথ চলা দেশের মানুষকে আশান্বিত করেছে। ছাত্রশিবির আজ প্রতিটি জনপদে এক দূর্জয় কাফেলা হিসেবে এগিয়ে চলছে। এখন আমাদের চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আর এ জন্য নিজেদেরকে ঈমানী দৃঢ়তা ও যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পড়াশুনা, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, সমসাময়িক বিষয়ের উপর পূর্ণ জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। সকল কাজে ভারসাম্যতা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নাগরীক উপহার দিতে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সংশ্লিষ্ট