শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

২৮ অক্টোবরের খুনীরাই আজ সারাদেশে তান্ডব আর অরাজকতার নেতৃত্ব দিচ্ছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ২৮শে অক্টোবরের খুনিদের মদদ ও পুরস্কৃত করার কুফল দেখছে জাতি। সেই খুনের ধারাবাহিকতায় দেশে একের পর এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এই অপশক্তি। ২৮শে অক্টোবরের খুনীরাই আজো সারাদেশে তান্ডব আর অরাজকতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি আজ রাজধানীতে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব শাখা আয়োজিত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষ্যে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি সিয়াম রেজার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন। এই দিনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ছাত্রজনতাকে যেভাবে প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে, গুলী করে হত্যা করেছে তা গোটা বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, যেসব সন্ত্রাসী সেদিন হায়েনার রুপ ধারণ করে মুজাহিদ, শিপনদের শহীদ করেছে, তারা আজো বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় থেকে তান্ডব চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার এইসব সন্ত্রাসীদের পেশীতে ভর করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে এইসব খুনীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ২৮শে অক্টোবরের আত্মস্বীকৃত খুনী বাপ্পাদিত্য বসু’রা বিচারের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা পাচ্ছে। ফলে তারা আরো উৎসাহের সাথে অপরাধ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে গুপ্ত হত্যা সহ সকল অপরাধ প্রবণতা সেই বিচার হীনতার সংস্কৃতিরই ফসল বলে দেশের জনগণ মনে করে।

তিনি বলেন, যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা জালিম শাসকদের মুকাবেলায় শহীদ হয়ে, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে গেছেন। ২৮ অক্টোবরের শহীদ মুজাহিদ, মাসুম, শিপনের শাহাদাত বাংলাদেশের জমিনকে আরো উর্বর করেছে। ইসলামী সমাজ বিনির্মানের যে স্বপ্ন আমরা দেখি, শহীদ মুজাহিদদের শাহাদাতের ধারাবাহিকতায় তা বাংলাদেশের মাটিতে সত্য হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি ২৮ অক্টোবরের শহীদ ভাইদের জীবন থেকে প্রেরণা নিয়ে চলমান আন্দোলনকে আরো দৃঢ়ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ছাত্রজনতার প্রতি আহবান জানান।


সংশ্লিষ্ট