সোমবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করতে মীর কাসেম আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে অবৈধ সরকার

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মীর কাসেম আলী একটি কল্যাণময় সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখে ছিলেন। শুধু স্বপ্ন দেখা নয় বরং ইসলামের আলোকে কল্যাণময় সমাজ গঠনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আর তাতেই বাতিল শক্তির আতে ঘা লাগে। বাংলাদেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করতে পরিকল্পিত ভাবে মীর কাসেম আলীকে হত্যা করেছে অবৈধ সরকার।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তেন ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত শহীদ মীর কাসেম আলীর শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি জামিল মাহমুদের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দাওয়া কার্যক্রম সম্পাদক আনিছুর রহমান বিশ্বাস।

সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সাথে মীর কাসেম আলীর নাম চিরদিন জড়িয়ে থাকবে। দেশে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও প্রসার, মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন ইসলামী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বেকার সমস্যা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যা এদেশের মানুষ কোন দিনই ভূলবে না।

তিনি আরো বলেন, শহীদ মীর কাসেম আলীকে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছে। সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তার সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে যে সব ডকুমেন্ট পেশ করেছেন তাতে কোথাও তার নাম নেই। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে সরকার পক্ষ ঘটনার স্থান, সময় ও তারিখ উল্লেখ করে যে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছেন তাতেই প্রমাণিত হয়েছে তিনি ঐ সময় ঘটনার স্থল চট্টগ্রামে নয় বরং রাজধানী ঢাকাতেই ছিলেন। এর পরও একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড প্রদান কখনো ন্যায় বিচার হতে পারে না।

তিনি বলেন, মূলত ইসলামী আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সহ্য করতে না পেরে ইসলাম বিদ্ধেষী এ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তি হয়ে পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তারা ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হবেনা। বরং শহীদ মীর কাসেম আলীর রক্ত ইসলামী আন্দোলনকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। মীর কাসেম আলীর রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে লাখো তরুণ আজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দৃপ্ত শপথে বলিয়ান এই তরুণ সমাজ একদিকে যেমন মীর কাসেম আলীর স্বপ্ন পূরণ করবে তেমনি এই পরিকল্পিত হত্যার হিসাব কড়ায় গন্ডায় আদায় করবে ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট