মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০১৬

গুম গণগ্রেপ্তার অপপ্রচার করে সরকার গুপ্তহত্যা ধামাচাপা দিতে চাইছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, গুপ্তহত্যাসহ সকল রাষ্ট্রীয় অরাজকতায় সরকারের সম্পৃক্ততা জনগণের সামনে প্রকাশ হয়ে গেছে। তাই গুম, গণগ্রেপ্তার, অপপ্রচার করে সরকার গুপ্তহত্যা ধামাচাপা দিতে চাইছে।

তিনি আজ রাজধানীতে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ঢাকায় আটক ঝিনাইদহের ৪ শিবির নেতার সন্ধান, গুপ্তহত্যার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পরিকল্পিত মিথ্যাচার বন্ধ এবং গণগ্রেপ্তারে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি হাসান তারিকের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক শাহিন আহমেদ খান।

শিবির সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, অবৈধ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনে দেশ সভ্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সকল বৈশিষ্ট হারিয়েছে। দেশে পরিকল্পিতভাবে গুপ্তহত্যা, গুম, খুন ও টার্গেট কিলিং চলছে। দিনে দিনে তা আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। যা দেশের মানুষকে অনিরাপদ করে দিয়েছে। প্রতিটি গুপ্তহত্যায় সরকারের রহস্যজনক ব্যর্থতা, পুলিশকে ব্যবহার করে নিরপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার ও বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে হত্যা, দলকানা গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে অপপ্রচার এবং সর্বশেষ গুপ্তহত্যার মূল্যবান সাক্ষীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যায় দেশ বিদেশে প্রমাণ হয়ে গেছে এসবের সাথে সরকার সরাসরি জড়িত। গুপ্তহত্যায় সরকারের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জনগণের মনে আর কোন সন্দেহ নেই। তাই জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পবিত্র রমজান মাসে নিরপরাধ হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহের ৪ ছাত্রকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে গুম করে রেখেছে সরকার। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী এমপি ও কিছু দলকানা গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্রশিবিরের দীর্ঘ পথ চলায় জঙ্গিবাদের সাথে দূরতম কোন সম্পর্ক কেউ কোন দিন দেখতে পায়নি এবং পাবেও না। ছাত্রশিবির সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। সুতরাং গুম, অপপ্রচার ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সত্য ধামাচাপা দেয়া যাবেনা। অবিলম্বে ঢাকায় গ্রেপ্তারকৃত ঝিনাইদহের ৪ শিবির নেতার অবস্থান নিশ্চিত করে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের মুক্তি দিতে হবে। ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সিন্ডিকেট অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। নিপিড়নমূলক সাঁড়াশি অভিযানে আটক নিরপরাধ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় সরকারকে ছাত্র-জনতার তীব্র গণপ্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।

সংশ্লিষ্ট